Sylhet Today 24 PRINT

অ্যামনেস্টি অপরাধীদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে : জয়

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৭ মে, ২০১৭

‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোনো মানবাধিকার সংগঠন নয়’ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

শনিবার রাতে নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি।
 
ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ‘সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা দাবি করে যে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত করা হচ্ছে এবং আমাদের দেশে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। তারা উদাহরণ হিসেবে শফিক রেহমান এবং মাহফুজ আনামের কথা উল্লেখ করেছে।’
 
‘শফিক রেহমান একজন সাবেক মার্কিন এফবিআই এজেন্টের সাথে দেখা করেন এবং আমার সম্পর্কে তথ্যের জন্য তাকে ঘুষ প্রদান করেন। সাবেক এই এজেন্ট এবং তার দুই সহকর্মীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের জেলে আছেন। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের ওয়েবসাইটে এই সম্পর্কে বিস্তারিত পাওয়া যায়। আমরা দেখেছি তার এক সহযোগী মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে স্বীকার করেছেন, আমাকে অপহরণ ও হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং শফিক রেহমান এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ প্রদানে জড়িত ছিলেন। শফিক রেহমান যদি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন, তাহলে তিনিও এখন জেলেই থাকতেন।’

স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘মাহফুজ আনাম টেলিভিশনে স্বীকার করেছেন তিনি আমার মা, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প লিখেছেন। তিনি এও স্বীকার করেছেন, একটি অবৈধ সামরিক সরকার আমাদের দেশে যেন ক্ষমতায় আসতে পারে সেজন্য তিনি আমার মায়ের বিরুদ্ধে নগ্ন প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তবুও আমাদের সরকার তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। বিদ্রোহ ও অপবাদের জন্য ন্যায় বিচারের অধিকার থেকেই আমাদের পার্টির সদস্যরা তার বিরুদ্ধে সিভিল মামলা দায়ের করেন। আওয়ামী লীগের প্রতিটি সদস্য এই সামরিক একনায়কত্বের সময় ভোগান্তিতে মাহফুজ আনামকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছিলেন।’

স্ট্যাটাসে জয় বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অপরাধীদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা বলে নাগরিক হিসাবে আমাদের নাকি নিজের সম্মান রক্ষার্থেও সিভিল কোর্টে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার নেই। ঠিক এই জায়গাতেই আমাদের শক্ত প্রতিরোধ করা প্রয়োজন।’

‘আমরা ভুলি নাই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০০৭-২০০৮ সালে সামরিক একনায়কত্বের বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তখন রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীরা কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক হয়েছিলেন এবং তাদের সম্পত্তি সঠিক প্রক্রিয়া ছাড়াই বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। মানবাধিকার সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন হয়েছিল, কিন্তু অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে তখন আমরা নীরব দেখেছি। তবে আজ তারা অপরাধীদের রক্ষা করার কথা বলছে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি সন্দেহ করছি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কিছু রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। তারা ক্ষমতায় একটি পুতুল সরকার আনতে চায়, আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। ১/১১ থেকেই একটা ব্যাপার খুব পরিষ্কার, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আর কোনো মানবাধিকার সংগঠন নয়।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.