সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | ২৪ জুলাই, ২০১৭
ইউএনও তারিক সালমনের পরিবারের ছবি। ফেসবুক থেকে নেওয়া
বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতি ও যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রকাশ করা হয় নি- এমন অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতার মামলার পর আলোচনায় আসা বরগুনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমন তার হয়রানি পরবর্তী পারিবারিক প্রতিক্রিয়া শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। লিখেছেন পুত্রের কথা। তারিক সালমনের পুত্রের বয়স পাঁচ ছুঁই-ছুঁই। পিতাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর পুত্রের মানসিক অবস্থা ও শিশু মনে জেগে ওঠা প্রশ্নের কথা লিখেছেন ফেসবুকে।
সোমবার (২৪ জুলাই) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সালমন পুত্রের প্রশ্ন উল্লেখ করে লিখেন, "আমার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে কেন? বাবা কি দুষ্টু?
তারিক সালমনের পুত্রের নাম তরুণ ঈশান। জানিয়েছেন নজরুলের কবিতা থেকেই এ নাম দেওয়া।
সালমন আরও লিখেন পুত্রের প্রশ্নের উত্তর তার মা দিতে পারেন নি; মা বলতে পারেন নি তিনি (বাবা) কি 'দুষ্টু'?
'যে প্রশ্নের উত্তর পায়নি ঈশান' শিরোনামে তারিক সালমন লিখেন,
ওর নাম রেখেছি 'তরুণ ঈশান'। নজরুলের কবিতা থেকে। আমার একমাত্র সন্তান। বয়স পাঁচ ছুঁই-ছুঁই। সে একটা প্রশ্ন করেছে তার মাকে। সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো পায়নি সে। টিভিপর্দায় সে দেখেছে যে তার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সে জানে, পুলিশ দুষ্টু লোকদেরই ধরে শুধু (কারণ সে মাঝেমধ্যে 'ক্রাইম পেট্রল' দেখে সনি আট চ্যানেলে)।
ঈশান জিজ্ঞাসা করেছে তার মাকে, "আমার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে কেন? বাবা কি দুষ্টু?"। তনু, আমার স্ত্রী, এই প্রশ্নটির জবাব দিতে পারেনি তার ছেলেকে এখনো।
এই প্রশ্নের উত্তরটি আমরা খুঁজছি।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেপে অবমাননার অভিযোগে বরগুনার ইউএনও সালমনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু। এরপর আদালতে আত্মসমর্পণের পর প্রথমে জামিন নামঞ্জুর করে পুলিশি ব্যবস্থায় আদালতের গারদে রাখা হয়, পরে একই দিন জামিন দেওয়া হয়।
এরআগে, শিশুর আঁকা জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে কার্ড ছাপানোর কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হেনস্থা করায় বিস্মিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশে অ্যাডভোকেট ওবায়েদুল্লাহ সাজুকে আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা শাখার ধর্মবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার মামলাটিও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাদী।