Sylhet Today 24 PRINT

‘জুম’ আসছে, স্বাচ্ছন্দ্যে ‘পেপাল’ ব্যবহার করা যাবে

আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল |  ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

‘পেপাল’ নিয়ে অনেক ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ না জেনে বা বুঝে সমালোচনা করছে আবার কেউ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বুঝে সমালোচনা করছে। ‘বাংলাদেশে পেপাল আসছে’ এমন শিরোনামই সম্ভবত বিতর্কের কারণ।

বাংলাদেশে পেপাল সেবা নেই, এটা ঠিক, কিন্তু পেপাল ব্যবহার করা যায় না এটা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, ‘জুম’-এর মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলের যোগাযোগ স্থাপন করে সে সীমাবদ্ধতা অনেকাংশে নিরসন করা হয়েছে।

বিষয়টি এমন: আমার পেপাল একাউন্ট রয়েছে যা আংশিক ভেরিফাইড। পেপাল একাউন্ট থেকে টাকা গ্রহণ ও অনলাইনে পেমেন্টের কাজও করতে পারছি। কিন্তু পেপালে রক্ষিত/গৃহীত/প্রাপ্ত অর্থ দেশের কোনো ব্যাংকে আনার উপায় ছিল না।

জুম ইতোপূর্বে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা রিয়ার বিদেশ থেকে দেশে টাকা আনার ক্ষেত্রে সেবা প্রদান করতো। কিন্তু এর সাথে পেপালের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। জুম ও পেপালের সমন্বয়ের ফলে পেপালে রক্ষিত/গৃহীত/প্রাপ্ত টাকা দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দ্রুত ও নিরাপদে আনা যাবে।

বর্তমানে পেপাল ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা হচ্ছে সম্পূর্ণ ভেরিফাই করতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা পেপাল সেবা রয়েছে এমন দেশগুলোর ঠিকানা, মোবাইল ও ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন। এছাড়া ট্রানজেকশন লিমিট কম থাকে। তবে এরও সমাধান রয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাড়ে পাঁচ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার ছাড়াও অনেকেরই অনলাইনে পেমেন্ট করতে হয়। এজন্য পেপালের বিকল্প পেজা, পেওনিয়ার, পারফেক্ট মানি সহ অনেকগুলো সেবা চালু রয়েছে। কেউ কখনো তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন? ফ্রিল্যান্সাররা পেপালের বিকল্প সেবাগুলোর মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করছেন বলেই তথ্য প্রযুক্তি খাতে বৈদেশিক আয় হচ্ছে। ২০০৯ সালের আগে দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতেরই বেহাল দশা ছিল, বৈদেশিক আয় তো দূর অস্ত।

পেপাল নিয়ে অতিউৎসাহীদের জ্ঞাতার্থে বলছি: বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়াল কার্ড, ইউএস মোবাইল ও ইউএস ব্যাংক একাউন্ট করা কঠিন কিছু নয়। এখন জুম আসছে সুতরাং স্বাচ্ছন্দ্যেই পেপাল ব্যবহার করতে পারবেন।

  • আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল: তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সাবেক ছাত্রনেতা।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.