সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | ২৭ জুন, ২০১৯
বরগুনার প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা নিয়ে দেশজুড়ে ক্ষোভ-সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযেোাগমাধ্যমে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি ওঠেছে। কেউ কেউ আবার এ ঘটনায় রিফাতের স্ত্রীর আয়েশা আক্তার মিন্নিকেও অভিযুক্ত করছেন।
বুধবার স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, রিফাতকে যখন কুপানো হচ্ছিলো তখন হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করছিলেন মিন্নি।
তবে অভিযুক্তদের কয়েকজনের সাথে মিন্নির কিছু পুরনো ছবি যুক্ত করে তাঁর সমালোচনায় মেতে উঠেছেন কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী।
তবে এখন এমন প্রশ্ন তুলে খুনের ঘটনাকে জায়েজ না করার আহ্বান জানিয়েছেন ভাস্কর আবেদিন।
ফেসবুকে তিনি লিখেন-
খুনকে জায়েজ করবেন না। আপনি মনে করেন একজন নারী তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করাটা অপরাধ, এমনকি দ্বিতীয় কারো সাথে প্রেম করাটাও অনৈতিক; এই নৈতিকতাবোধ আপনি লালন করতেই পারেন, এইরকম জাজমেন্টালপনা ধর্ম-সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে ভালোভাবেই প্রচলিত আছে, আপনার রুচিবোধেও থাকুক। তাই বলে খুনকে জায়েজ কইরেন না। মানুষ খুনের শাস্তি আপনার ধর্ম - সমাজ আর রাষ্ট্রীয় বিচারিক ব্যবস্থাতেও সর্বোচ্চ দেয়া আছে। সেইটা হোক না, "ক্রসফায়ারে" কিংবা "হারকিউলিসে" অথবা "রাজনৈতিক সন্ত্রাসে"।
এ ব্যাপারে লেখক হাসান মোরশেদ ফেসবুকে লিখেন-
বরগুনা হত্যাকান্ডে ক্ষোভজনিত আবেগ ক্রমশঃ ফুরিয়ে আসবে। স্বাভাবিক। এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশী সামাজিক এবং আইনী হয়রানীর শিকার হবে মেয়েটি। উইচ হান্টিং এর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
যারা সত্যি এই ঘটনায় মর্মাহত তাদের উচিত মেয়েটির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা। ব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক যেভাবেই হোক। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় মেয়েটি যদি সাহায্য না পায় শেষ পর্যন্ত নানা মার প্যাঁচে তাকেই ফাঁসানোর চেষ্টা করা হবে মুল অপরাধীদের অপরাধ হাল্কা দেখানোর জন্য।
আইনী এই ব্যাপারগুলো খুব কুৎসিত এবং পদ্ধতিগত হয়ে থাকে।
নারী/ মানবাধিকার নিয়ে যারা আনুষ্ঠানিক ভাবে সোচ্চার তাদের উচিত মেয়েটিকে সাহায্য করা। এরকম কোন উদ্যোগ নেয়া হলে আমাকে জানাবেন। অতি ক্ষুদ্র একজন ব্যক্তি মানুষ হিসাবে এরকম উদ্যোগের সাথে থাকতে চাই।