মুহম্মদ জাফর ইকবাল

পুরো নাম ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’, একটি সংগঠনের জন্য নামটি যথেষ্ট লম্বা, বলতে সময় লাগে। কিন্তু গত ২৯ বছরে এটি এই দেশের

জানুয়ারির ২ তারিখ ভোরবেলা খবরটি দেখে একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। ভেবেছিলাম রাক্ষুসী ২০২০ সালটি আমাদের সব প্রিয়জনকে নিয়ে বুঝি শান্ত হয়েছে,

২০২০ সাল যাই যাই করছে, পৃথিবীর সব মানুষ পারলে অনেক আগেই এটাকে ঠেলে বিদায় করে দিতো! কারণটা সবাই জানে, করোনাভাইরাস এখন সবার নার্ভের ওপর চেপে

গত কিছু দিন “বিতর্ক” শব্দটি পত্রপত্রিকায় খুব ঘন ঘন এসেছে, যদিও আমার মনে হয়েছে শব্দটি যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি। কোনও একটা বিষয়

আমাদের সবার ভেতরেই প্রকৃতির জন্য এক ধরনের ভালোবাসা আছে। আমরা সবাই মনে মনে স্বপ্ন দেখি কোনও একদিন একটা গহিন গ্রামে ফিরে যাবো। গাছের

খবরের শিরোনামটি দেখে আমি শিউরে উঠেছিলাম—একজন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আমি ভাবলাম, না জানি কোন দেশে এরকম একটা ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে,

না—বাংলা ভাষায় “পরশ্রীপুলক” বলে কোনও শব্দ নেই। তবে আমার খুব শখ “পরশ্রীকাতর”-এর বিপরীত শব্দ হিসেবে বাংলা ডিকশনারিতে

বাংলা ভাষায় ধর্ষণ থেকে ভয়ঙ্কর কোনও শব্দ আছে কিনা আমার জানা নেই। একটা সময় ছিল যখন এই শব্দটি লিখতে আমার কলম সরতো না, ‘নির্যাতন’ বা এই

আমাদের ছেলেবেলায় আমরা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিদ্যাসাগর কিংবা মহাত্মা গান্ধীর মতো মানুষদের সঙ্গে নিয়ে বড় হয়েছি। ভালো করে কথা বলা শেখার

যখন আমাদের দেশে করোনার মহামারি শুরু হয়েছিল তখন এই ভাইরাসটিকে একটি নির্বোধ ভাইরাস ছাড়া বেশি কিছু ভাবিনি। পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে আমাদের

আমি খুব আশাবাদী মানুষ, খুব মন খারাপ করা কোনো ঘটনাও যদি ঘটে তখনও আমি নিজেকে বোঝাই এটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা, তখনও আমি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে

একটা মাস কিংবা বছর, কিংবা একটা তারিখ আসলে সত্যি সত্যি কখনও অভিশপ্ত হতে পারে না। যদি সত্যি সত্যি কেউ এরকম কিছু একটা বিশ্বাস করে তাহলে সেটা এক

আমার ধারণা চাপে পড়ে আমরা আজকাল অনেক বেশি আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছি। আগে কাউকে কোনও সেমিনার, কনফারেন্স বা ওয়ার্কশপে বিদেশ থেকে আমন্ত্রণ

পৃথিবীতে যত দৃশ্য আছে তার মাঝে সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হচ্ছে, একটি ছোট শিশু পা ছড়িয়ে সাইজে তার থেকে বড় একটা বই খুলে খুব মনোযোগ দিয়ে সেটির

বেশ অনেক দিন হলো আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছি। তারপরও আমার সহকর্মীরা—যারা একসময় প্রায় সবাই আমার ছাত্রছাত্রী ছিল, তাদের

চীন থেকে বিশেষজ্ঞদের একটা দল আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য এসেছিল। খবরে দেখলাম তারা ফিরে যাওয়ার সময় এ দেশের

করোনার এই দুঃসময়ে খবর মানেই মন খারাপ করা খবর, সংবাদ মানেই দুঃসংবাদ। তার মাঝেই হঠাৎ করে সারা পৃথিবী থেকে একটা খবর নির্মল শীতল বাতাসের মতো

বহু কাল আগে আমি বেশ কয়েক বছর লস এঞ্জেলস এলাকায় ছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর আমি আবিষ্কার করেছিলাম সেটি হচ্ছে ভূমিকম্পের এলাকা। একবার একটা

১৪ তারিখ বিকাল বেলা যখন জানতে পেরেছি আনিসুজ্জামান স্যার চলে গেছেন তখন মনটি গভীর এক ধরণের বিষাদে ভরে গেল। অনেকদিন থেকেই শুনছি স্যার

করোনা মহামারি নিয়ে প্রাথমিক আতঙ্কটা মনে হয় একটু কমেছে। প্রতিদিনই খবরের কাগজে দেখছি পৃথিবীর কোনো না কোনো দেশ তাদের ঘরবন্দি মানুষদের একটু

প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী এই দেশে প্রায় সবার কাছে ‘জেআরসি’ স্যার নামে পরিচিত। রাষ্ট্র তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে সম্মান দিয়েছে

এটি এমন একটি সময় যখন মানুষজন করোনাভাইরাস ছাড়া আর কিছু নিয়ে কথা বলছে না। এর মাঝেই পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ ঘরের ভেতর স্বেচ্ছাবন্দি হয়ে

যে কোনো হিসেবে মানুষ একটি বিস্ময়কর প্রজাতি। তাদের ছোটখাটো আকার এবং তাদের মাথার ভেতর দেড় কেজি থেকেও কম একটা মস্তিষ্ক। সেই মস্তিষ্কটি

বেশ কিছুদিন থেকেই আমরা করোনাভাইরাসের কথা বলে আসছিলাম। আমি বিষয়টাকে কতটুকু গুরুত্ব দেবো বুঝতে পারছিলাম না। সাংবাদিকেরা এক দুইবার আমাকে

ছেলেবেলায় ঈদের পরদিন ঘুম থেকে উঠে কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগত, বই মেলা শেষ হবার পর আমাদেরও কয়দিন থেকে কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে! এতদিন

এই লেখাটি যেদিন প্রকাশিত হবে সেদিনের তারিখটি হবে ২১ ফেব্রুয়ারি। বাইরের দেশের যেসব মানুষ কখনো আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি দেখেনি তারা যখন

আমি আমার জীবনে মাত্র একবার শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে সরকারের একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার চেষ্টা করেছিলাম। সেই আন্দোলনের কারণে তিন

ক’দিন আগে আমি শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের সংবাদ সম্মেলনে গিয়েছিলাম। এর আয়োজক ‘চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ’ ও আমি—এই সংগঠনটির

আমার এই লেখাটি জানুয়ারির ১০ তারিখ প্রকাশিত হওয়ার কথা। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধকে দেখেছি তাদের কাছে অনেকগুলো তারিখ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ, তবে

এই বছরটি প্রায় শেষ। অন্যদের কথা জানি না, আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে সামনের বছরটির জন্য অপেক্ষা করছি। তার প্রধান কারণ, সামনের বছরটিকে আমরা টোয়েন্টি

ডিসেম্বর মাসটা অন্যরকম। কখনোই এমন হয়নি যে ডিসেম্বর মাস এসেছে আর একাত্তরের সেই বিস্ময়কর জাদুকরী দিনগুলোর কথা স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করে

আমি নিজেকে যে কয়েকটি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হিসেবে দাবি করতে পারি তার একটি হচ্ছে- ‘বাংলাদেশের সড়ক পথের নিরলস যাত্রী’। শুধু যে মুখের কথায় দাবি

কিছুদিন আগে আমাদের ক্রিকেট টিম যখন দিল্লিতে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল তখন হঠাৎ দিল্লির ভয়ংকর বায়ুদূষণের খবর আসতে শুরু করলো। ছবিতে দেখতে শুরু

বেশ কিছু দিন আগের কথা। একটি প্রতিষ্ঠান শিশুদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করি। কারণ,

আবরারের হত্যাকাণ্ডটি সবাইকে একটা বিশাল ধাক্কা দিয়ে গেছে। প্রাথমিক রাগ, দুঃখ হতাশা ও ক্ষোভের পর্যায়টুকু শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা এখন তার

[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই লেখাটি দেশের সত্যিকারের শিক্ষাবিদ ও নীতিবান ভাইস চ্যান্সেলরদের জন্য প্রযোজ্য নয়।]এক.যারা খবরের

পৃথিবীতে যেসব বিচিত্র বিষয় নিয়ে ব্যবসা হয়, আমার ধারণা সেগুলোর একটি হচ্ছে তথ্য-উপাত্তের ব্যবসা, ইংরেজিতে আজকাল খুব সহজে যাকে আমরা বলি

আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে আমরা যখন ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করেছি, তখন তিন বছরে বিএসসি অনার্স ডিগ্রি পাওয়া যেতো (তারপর এক বছরে একটা মাস্টার্স

আমি খুব আশাবাদী মানুষ। আমি জানি আমার এই আশাবাদ নিয়ে আশপাশের অনেকেই আমাকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেন- আমি কিছু মনে করি না। আমার

অ্যাডভোকেট সুপ্রিয় চক্রবর্তী কিংবা আমাদের রঞ্জুদাকে নিয়ে এ রকম একটি লেখা লিখতে বসবো, কখনও ভাবিনি। বেশ কিছু দিন থেকে আমি দেশের বাইরে,

১.সেদিন আমি একটা ই-মেইল পেয়েছি। সেখানে ছোট একটা লাইন লেখা, “স্যার, আত্মহত্যার মিছিলে আরও একটি নাম যুক্ত হলো...”, এই লাইনটির নিচে

১. যতই আমার বয়স বাড়ছে আমি ততই নিজের ভিতর একটা পরিবর্তন লক্ষ করছি। যখন বয়স কম ছিল তখন দুনিয়ার সব বিষয়েই আমার নিজস্ব মত ছিল। কোনটা ভুল আর কোনটা

আমি আজকাল ভাগ্য বিশ্বাস করতে শুরু করেছি। (না, আমি অন্যদেরকেও আমার মত ভাগ্য বিশ্বাস করা শুরু করতে বলছি না!) তবে আমি নিজে কেন ভাগ্য

জুন মাসের ১৩ তারিখ এই বছরের বাজেট ঘোষণা করার দিন। সেই হিসেবে যখন আমার এই লেখাটি প্রকাশিত হবার কথা, তার আগেই আমাদের বাজেটটি সবার জানা হয়ে

আগেই বলে রাখছি আজকের লেখাটি পড়ে কারও কারও মন খারাপ হতে পারে। শুধু মন খারাপ নয়, কেউ কেউ বিরক্ত হতে পারেন, এমনকি রাগও করতে পারেন। তবে আমি

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় একুশ লাখ ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল, এর মাঝে প্রায় বিরাশি শতাংশ পাস করেছে। সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া

১.নুসরাত নামের একটি কিশোরী মেয়ের জন্য পুরো বাংলাদেশের মানুষ এক ধরনের বিষণ্ণতায় ডুবে আছেন। প্রথম যখন ঘটনাটি পত্রপত্রিকায় আসতে শুরু

আমাদের জাতীয় সংগীতের একটা লাইন হচ্ছে, “মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো।” সত্যি সত্যি কিছু কথা আছে যেগুলো শুনলে মনে হয় কানের

‘সর্ব অঙ্গে ব্যথা’ বলে একটা কথা শুনেছিলাম। বিষয়টা কী, আমি এই মুহূর্তে সেটি টের পাচ্ছি। কিন্তু মজার কথা হচ্ছে, এই বিষয়টি নিয়ে আমি নিজের

আমি জানি আমার এই লেখার শিরোনাম দেখে সবাই চমকে উঠবে। অনেকে ভাববে আমি মনে হয় পাগল হয়ে গেছি। যারা আমাকে চেনেন তারা ভাববেন এটি নিশ্চয়ই এক ধরনের

ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমি একটা ভাষণ দিয়েছিলাম। পৃথিবীটা কিছু বোঝার আগে

আমি জানি আমার এই লেখাটির জন্য আমাকে অনেক গালমন্দ শুনতে হবে, তারপরেও লিখছি। লিখে খুব কাজ হয় সে রকম উদাহরণ আমার হাতে খুব বেশি নেই, কিন্তু অন্তত

১.ফেব্রুয়ারি মাস এসে গেছে। পৃথিবীর সব দেশেই বিশেষ একটা দিবস সেই একটা দিনের মাঝেই আটকে থাকে। আমরা যেহেতু আবেগের জন্য বিখ্যাত, তাই একটা

আমাকে যদি কেউ কখনও জিজ্ঞেস করে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি কী? তাহলে আমি একেবারে চোখ বুজে উত্তর দেবো যে, সেটি হচ্ছে এই দেশের সবকিছুতে

আমি প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর পত্রপত্রিকায় লিখি, এই সপ্তাহের জন্যেও লিখতে বসেছিলাম। সবেমাত্র একটা ইলেকশন শেষ হয়েছে, মোটামুটি

একটি সময় ছিল যখন নির্বাচনি ইশতেহার নিয়ে আমি মাথা ঘামাতাম না। আমি ধরেই নিয়েছিলাম একটা রাজনৈতিক দল পারুক আর না-ই পারুক ইশতেহারে অনেক ভালো

দ্রুত নির্বাচন এগিয়ে আসছে এবং আমরা সেই নির্বাচনের উত্তেজনা ও তাপ অনুভব করতে শুরু করেছি। তবে সেই উত্তেজনা, তাপের প্রায় পুরোটুকুই আসছে

আমি মনে করি নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা বাক স্বাধীনতা নিয়ে আরেকটু গুছিয়ে তৈরি করা একটি প্রস্তাব আশা করতে পারি। এই হচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহারে

আমার ধারণা, এখন পৃথিবীর সবচেয়ে অমানবিক জায়গা হচ্ছে এয়ারপোর্ট। যারা এয়ারপোর্টে কাজ করেন, নিশ্চয়ই তাদের কানের কাছে চব্বিশ ঘণ্টা বলা হয়,

শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার শিক্ষকতা জীবন শেষ হতে শুরু করেছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ২৪টি বছর কাটিয়ে

দেশে থেকে থেকে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, এখন দেশের বাইরে গেলে কেমন যেন অস্থির লাগে, মনে হয় কখন আবার দেশে ফিরে যাব! বাংলাদেশের একটা টিমের সঙ্গে

গত সপ্তাহটি আমার জন্য খুব আনন্দের একটি সপ্তাহ ছিল। একসপ্তাহ বাংলাদেশের ল্যাবরেটরিতে করা তিনটি সফল গবেষণা খবর দেশের মানুষ জানতে পেরেছে।

যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, দু’টি সংখ্যা যোগ করলে হয় দশ, গুণ করলে হয় পঁচিশ সংখ্যা দুটি কত? যে একটুখানি যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ করতে পারে সেই এক

সিগারেটের প্যাকেটে ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ’ থাকে। সেখানে সিগারেট খেলে কী কী রোগবালাই হতে পারে তার ভয়াবহ বর্ণনা থাকে; এর পরেও কেউ যদি

কিছুদিন আগে আমার সঙ্গে দুজন ছাত্রী দেখা করতে এসেছে। রাগে দুঃখে ক্ষোভে তাদের হাউমাউ করে কাঁদার মতো অবস্থা কিন্তু বড় হয়ে গেছে বলে সেটি করতে

ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা ভালোভাবে শেষ হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া প্রায় নিয়মিত একটা ঘটনা হয়ে গিয়েছিল, তাই আমরা খুব দুর্ভাবনায়

মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগে এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট হয়েছে। আমাদের দেশের এটা অনেক বড় একটা ঘটনা। দেশের সব পরিবারেরই পরিচিত কেউ না কেউ এসএসসি

আমি শেষবার এই কথাটি শুনেছিলাম ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর মাসে।  তাড়া খাওয়া পশুর মতো দেশের নানা জায়গা ঘুরে শেষ পর্যন্ত ঢাকা এসে

কয়েক সপ্তাহ আগে আমি এশিয়া প্যাসেফিক ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একটা ভাষণ দিয়েছিলাম। বিভ্রান্ত একটি তরুণ দিয়ে আক্রান্ত হওয়ার পর

আমি ইউনিভার্সিটিতে ছেলে-মেয়েদের পড়াই, তারা পাশ করে চাকরী-বাকরী পাবে কী পাবে না সেটা নিয়ে কখনো মাথা ঘামাইনি। দেখেছি সবচেয়ে ফাঁকিবাজ ছেলে বা

মার্চ মাসের ৩ তারিখ শনিবার বিকেলে আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের তৈরি করে আনা রবোটদের যুদ্ধ দেখছি হঠাৎ করে মনে হলো আমার মাথায়

আজকে আমার একজন সহকর্মী তার স্মার্টফোনে আমাকে একটা ভিডিও দেখিয়েছে। আমি আমার জীবনে এর চাইতে হৃদয়বিদারক কোনও ভিডিও দেখেছি বলে মনে করতে পারি

পৃথিবীতে যত রকমের মেলা হতে পারে, তার মাঝে সবচেয়ে সুন্দর মেলা হচ্ছে বইমেলা। আমার ধারণা, পৃথিবীতে যত বইমেলা আছে, তার মাঝে সবচেয়ে মধুর বইমেলা

আজকাল সব পত্রপত্রিকারই একটা নেট সংস্করণ থাকে, সেই সংস্করণে সব লেখালেখির পিছনেই পাঠকদের মন্তব্য লেখার সুযোগ থাকে। আমি অবশ্য আমার জীবনে

এই বছরটা আমার জন্য খুব ভালো একটা সংবাদ দিয়ে শুরু হয়েছে। বছরের শুরুতেই জানতে পেরেছি যে এই বছর থেকে ছেলেমেয়েদের আলাদা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে

জানুয়ারির সাত তারিখ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমাকে সমাবর্তন ভাষণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। প্রায় দশ

দেখতে দেখতে বছরটি শেষ হয়ে গেল। প্রতিবারই যখন বছর শেষ হয় তখন আমি চাই কিংবা নাই চাই, বছরটি কেমন কেটেছে সেটা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। এ বছর যখন

আমাদের বয়সী যে কোনো মানুষকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় দিন কোনটি সে অবধারিতভাবে বলবে সেটি হচ্ছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।

খবরের কাগজে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ছবি দেখে দেখে এতদিনে আমাদের অভ্যস্ত হয়ে যাবার কথা ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় আমরা এখনও অভ্যস্ত হতে পারিনি।

শপিং মলের খোলা একটা জায়গায় একটি সুন্দর বসার জায়গা। সেখানে তেরো-চৌদ্দ বছরের একজন কিশোরকে নিয়ে তার মা বসে আছেন। মায়ের বয়স খুব বেশি নয়,

আবার ভাঙা রেকর্ডটা বাজাই। এ ভাঙা রেকর্ড বাজানো ছাড়া আর কীইবা করতে পারি? (ভাঙা রেকর্ড বাজানোর অর্থ এক কথা বারবার বলা। কথাটা কোথা থেকে এসেছে এ

ছোট শিশুদের স্কুল দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। সুযোগ পেলেই আমি এ রকম স্কুলে চলে যাই, বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলি। শহরে বাচ্চাদের চেহারা ছবি পোশাক

পুরো বাংলাদেশ গত কয়েক সপ্তাহ থেকে এক ধরনের বিষণ্ণতায় ভুগছে। খবরের কাগজ খুললেই প্রথম পৃষ্ঠায় রোহিঙ্গাদের কোনও একটি মনখারাপ করা ছবি দেখতে

 গত বেশ কিছুদিন হলো পত্রপত্রিকার পৃষ্ঠার দিকে আর তাকানো যাচ্ছে না। মানুষের নিষ্ঠুরতার কথা পড়তে ভালো লাগে না। এ রকম খবর পত্রপত্রিকায় ছাপা

আগস্ট মাসটি মনে হয় সত্যিই বাংলাদেশের জন্য অশুভ একটা মাস। কীভাবে কীভাবে জানি এই মাসটিতে শুধু মন খারাপ করা ঘটনা ঘটতে থাকে। দুঃসময় নিশ্চয়ই এক

মা গাছে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছেন। শাহানা নিচু হয়ে মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘এখন কেমন লাগছে মা?’ মা চোখমুখে একটু অপরাধীর মতো হাসলেন, বললেন,

এই বছর আমরা গণিত পদার্থবিজ্ঞান এবং ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে সব মিলিয়ে এক ডজন মেডেল পেয়েছি। খবরটি সবাই জানে কি না আমি নিশ্চিত নই, আমাদের

খবরের কাগজ খুলে যখনই আমি তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানের চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার খবরটি পড়ি তখনই এক ধরনের অপরাধবোধ অনুভব করি। অনেকেই

ঈদের দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে মেঝেতে পা দিয়ে আমি চমকে উঠেছি, পায়ের তলায় প্রচণ্ড ব্যথা! গতরাতে আমি ঠিক কোথায় কীভাবে হাঁটাহাঁটি করেছি যে

একটা দেশ কেমন চলছে সেটা বোঝার উপায় কী? জ্ঞানী গুণী মানুষদের নিশ্চয়ই এটা বের করার নানা উপায় আছে। তারা অর্থনীতির দিকে তাকাবেন, দেশের

১.গত সপ্তাহে আমি কয়েকদিন কোনো পত্রিকা পড়িনি। বাসায় পত্রিকা এসেছে কিন্তু আমি ভাঁজ না খুলে পত্রিকাটি রেখে

আমি সিলেটে থাকি, সুনামগঞ্জের খুব কাছে। হাওর আমার খুব প্রিয় জায়গা, পুরো বর্ষার সময় উথালপাথাল পানিতে নৌকা ভাসিয়ে দিয়ে সেখানে বসে হাওরের

এই রবিবার এপ্রিলের ১৬ তারিখ, আমাদের নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হলো। একাত্তর সালে আমাদের দেশে যে গণহত্যাটি হয়েছিল, সে রকমটি

আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, মাস্টার্সে পড়ি। আমাদের স্যাররা একদিন ঠিক করলেন আমাদের কম্পিউটার শেখাতে হবে। শুনে আমরা খুবই উত্তেজিত,

একটা দৃশ্য কল্পনা করা যাক। আপনি একজন বাবা কিংবা মা, আপনার ছেলেমেয়েরা বড় হয়নি, তারা স্কুল-কলেজে পড়ে। একদিন আপনি বাসায় এসেছেন, এসে দেখলেন

দেশ নিয়ে যদি কখনো আমার মন খারাপ হয তখন আমি আমাদের দেশের স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েদের কথা ভাবি এবং অবধারিতভাবে আমার মনটা ভালো হয়ে যায়। এই দেশে

আমার একজন ছাত্রী– যে এখন আমার সহকর্মী– আমাকে জিজ্ঞেস করল, “স্যার, প্রশ্ন ফাঁসের ওপর অমুক চ্যানেলের অনুষ্ঠানটা দেখেছেন?

আমাদের বইমেলাটি নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ ব্যাপার। পৃথিবীর অন্যান্য বইমেলায় শুধু বই বেচাকেনা হয়। একুশের বইমেলা দেখলে মনে হয় এখানে বই

বড়রা এই লেখাটি পড়তে পারবে না তা নয়। কিন্তু আমার ধারণা বড় মানুষেরা-যাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে পড়ে তারা এই লেখাটি পড়ে একটু বিরক্ত হতে

লেখাটির শিরোনাম দেখে যে কেউ একটু অবাক হয়ে যাবে। কোনও কিছুকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিসেবে দাবি করে ফেলাটা নিঃসন্দেহে বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে, সেই

দেশের মানুষজন সবাই ঘটনাটি জানে কী না আমি নিশ্চিত নই, কিন্তু আমাদের কানের খুব কাছে দিয়ে একটা গুলি গেছে। এই মাসের গোড়ার দিকে হঠাৎ করে আমরা

ভাবতে খুব অবাক লাগে যে একাত্তর সালের সে অবিশ্বাস্য বিজয়ের দিনটির পর পয়তাল্লিশ বছর কেটে গেছে। যখন ফিরে তাকাই মনে হয় মাত্র সেদিন বুঝি ছিল সেই বিজয়ের

আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের প্রতি আমরা যেসব নিষ্ঠুরতা করে থাকি, তার মাঝে এক নম্বরের নিষ্ঠুরতাটি নিশ্চয়ই তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া

আজকাল বাংলাদেশে প্রতিবছর খুব হইচই করে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজন করা হয়। এই বছরের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের একটি অনুষ্ঠানে আমার আমন্ত্রণ ছিল।

বহুদিন থেকে আমি প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর লিখে আসছি। এবারে কি লিখব আমি বেশ আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম এবং সেটি নিয়ে আমার ভেতরে এক ধরনের আনন্দ

১.এ মাসের অক্টোবরের ৩ তারিখ সোমবার বিকেলে আমি খবর পেয়েছি এমসি কলেজে একটি মেয়েকে নির্মমভাবে কুপিয়ে মেরে ফেলা

১. দেশ কিংবা দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে মানুষজন যখন হা-হুতাশ করে আমি সাধারণত সেগুলোকে খুব গুরুত্ব দিয়ে নেই না। সারা

(১)চৌদ্দ ঘণ্টা আকাশে উড়ে আমাদের প্লেনটা শেষ পর্যন্ত নিউইয়র্কে পৌঁছেছে। টানা চৌদ্দ ঘণ্টা প্লেনের ঘুপচি একটা

১. আমি ছোট ছেলেমেয়েদের জন্যে লেখালেখি করি তাদের সাথে আমার এক ধরনের যোগাযোগ আছে। তাদের দুঃখ কষ্টের অনেক

আশির দশকে কোনো এক সময়ে আমি আমেরিকা থেকে দেশে বেড়াতে এসেছি। রিকশা করে কোনো এক জায়গায় গিয়ে আমি রিকশা থেকে নেমে মানিব্যাগ থেকে একটা দশ টাকার

কয়লা নিয়ে আমার স্মৃতি ভালো নয়। শৈশবে আমাদের দেশে গ্যাস ছিল না, রান্না-বান্না হত কেরোসিনের চুলায় কিংবা কাঠের লাকড়ি দিয়ে এবং কোথাও কোথাও কয়লা

গুলশান ক্যাফে এবং শোলাকিয়া ঈদগাহের ঘটনার পর সারাদেশের সব মানুষেরই নতুন এক ধরনের উপলব্ধি হয়েছে। হঠাৎ করে সবাই বুঝতে পেরেছে ধর্মান্ধ এবং

জুলাই মাসের ১ তারিখ আমি দেশের বাইরে। বাংলাদেশের ইতিহাসে নৃশংস একটি হত্যাকাণ্ডের প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়েছে আমি তার কিছুক্ষণের মাঝে খবরটি

বহু বছর আগে যখন দেশের বাইরে থাকতাম তখন কয়েক বছর পর একবার দেশে আসার সুযোগ হতো। যখন ফিরে যাওয়ার সময় হতো তখন মনটা ভারি হয়ে থাকত। সবচেয়ে বেশি

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এই নামে একটি বই লিখেছিলেন, আজকের লেখাটির জন্যে আমি তাঁর বইয়ের নামটি ব্যবহার করছি, আমার মনে হয় আমি যে

আমি মাঝে মাঝেই একটা প্রশ্ন শুনতে পাই, “সৃজনশীল পদ্ধতি কী কাজ করছে?” প্রশ্নটা শুনে আমি সবসময়েই অবাক হয়ে যাই এবং উত্তরে কী বলব বুঝতে

আজ দুপুর বেলা আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির সামনে বুকে কালো ব্যাজ লাগিয়ে বসেছিলাম। মাত্র কয়েকদিন আগে রাজশাহী

গত শনিবার আমাকে একটা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি বললেন, ‘স্যার, আপনি নিশ্চিন্ত মনে আসতে

এ বছর ফেব্রুয়ারির বইমেলায় আমি আমার একজন প্রিয় মানুষকে একটি বই উৎসর্গ করেছিলাম। উৎসর্গের পৃষ্ঠাটিতে লিখেছিলাম:

১. রিকশাটা থামতেই সামিয়া দেখতে পেল হাসান কফি হাউজের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সামিয়াকে দেখেই

আমি যখন খুব ছোট ছিলাম তখন একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি আমার খুব প্রিয় একটা দিন ছিল। কারণ সেদিন ছিল আমার বাবার জন্মদিন! আমার মা, বাবার জন্মদিন

এই যুগের ছেলেমেয়েরা আমাদের শৈশবের কথা শুনলে রীতিমতো আঁৎকে উঠবে। তখন টেলিভিশন ছিল না, টেলিভিশন নামে একটা যন্ত্র আছে সেটা

কিছুদিন আগে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, বলেছেন তাদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে_ একেক জায়গায়

নতুন বছরের জানুয়ারির ৪ তারিখ খুব ভোরবেলা ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষের ঘুম ভেঙে গেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল

ইংরেজি নববর্ষের দিনটি কোনোভাবেই অন্য কোনো দিন থেকে আলাদা নয়। বাংলা নববর্ষের তবুও একটা আস্ট্রোনমিক্যাল যোগাযোগ আছে,

বেশ কয়েক বছর আগে একজন তরুণের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, সে আমার পা ছুঁয়ে সালাম করে বলল, ‘আমি অমুক।’ বলাই বাহুল্য, আমি তার নাম থেকে তাকে চিনতে

১৯৭১ সালের মে মাসের ৫ তারিখ বিকালবেলা পিরোজপুরের বলেশ্বরী নদীর ঘাটে পাকিস্তান মিলিটারি আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছিল। পুলিশ

বছরের এই সময়টা মনে হয় দীর্ঘশ্বাসের সময়। এই সময়টিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো হয়। খুব সহজেই সব বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটা ভর্তি

গত কয়েকদিন থেকে আমি ছটফট করছি, সত্যিকারের কোনও কাজ করতে পারছি না। যে মানুষগুলোকে দেশের মাটিতে খুন করা হচ্ছে, জখম করা হচ্ছে, তারা আমার চেনা

প্রায় বিশ বছর আগে আমি যখন প্রথমবার দেশে ফিরে এসেছিলাম, তখন যে বিষয়গুলো নিয়ে ধাক্কা খেয়েছিলাম তার একটি ছিল টেলিফোন। আমেরিকায় সবার বাসায়

১. এই দেশের শিক্ষকদের জন্যে এখন খুবই একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকেরাই এখন কোনো না কোনো আন্দোলনে

এই বছর আমার পরিচিত একজন মেডিকেলে ভর্তিপরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা শেষে আমি তাকে ফোন করেছি, জিজ্ঞেস করেছি পরীক্ষা কেমন হয়েছে। সে বলল, পরীক্ষা

৩০ আগস্ট দিনটি যে অন্যরকম একটি দিন হবে, সেদিন সকালবেলা আমি তা একেবারেই অনুমান করতে পারিনি। ভাইস চ্যান্সেলরকে সরিয়ে দেওয়ার

কয়েকদিন আগে আমাদের দেশের লেখাপড়ার জগতটাতে একটা বড় ওলট-পালট হয়ে গেছে। আমার ধারণা, দেশের বেশিরভাগ মানুষ সেটা লক্ষ করেননি। বিষয়টা বলার আগে

মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আমাদের কতো বড় সৌভাগ্য যে, বাংলাদেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মানুষের জন্ম হয়েছিল। ঠিক যেই সময়টিতে দরকার হয়েছিল,

গত কয়েক দিন আমি যতবার খবরের কাগজের পৃষ্ঠা খুলেছি ততবার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়ের হাসিমাখা মুখটির ছবি দেখে বুকের ভেতর এক ধরনের বেদনা

গত কয়েক বছর হলো ঈদের বেশ কিছুদিন আগে থেকে শুরু করে ঈদ শেষ হওয়ার বেশ কিছুদিন পর পর্যন্ত আমি এক ধরনের আতঙ্ক অনুভব করতে থাকি। আমার ধারণা আমি একা

কিছুদিন আগে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের বাসায় তাঁকে দেখতে গিয়েছিলাম। মেয়ে সিমিন হোসেন রিমির মুখে শুনেছিলাম তাঁর শরীরটা নাকি ভালো যাচ্ছিল

রাজনের বিষয়ে কিছু একটা লেখার জন্য আমি হাতে কলম এবং কিছু কাগজ নিয়ে গত কয়েক ঘণ্টা চুপচাপ বসে আছি, কিছু লিখতে পারছি না। কী লিখব? কীভাবে লিখব? আমি

১. আমস্টারডাম শহরে প্রথমদিন ভোরবেলা বের হয়েছি, আমাদের সঙ্গে আমার ছেলে। ঝলমলে একটা শহরে হাসি খুশি সুখী মানুষের ভিড়, তার মাঝে হাঁটতে

পৃথিবীর অন্য সব মানুষের মতোই আমারও বেড়াতে খুব ভাল লাগে। যত সময় যাচ্ছে নানা কাজে ততই ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি আর আমার ঘুরে বেড়ানোর জগতটি ততই ছোট

সকালে একটা ক্লাশ শেষ করে এসে অফিসে মাত্র বসেছি, তখন আমার একজন সহকর্মী এসে আমাকে জানাল অনন্তকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। তারা তিন ভাইবোন আমাদের

১. সেদিন একজন এসে আমাকে জানাল, ভূমিকম্প নিয়ে নাকি ফেসবুকে তুলকালাম কাণ্ড হচ্ছে।

বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে আমার সবসময়ই এক ধরনের অহংকার ছিল। আমি সুযোগ পেলেই সবাইকে বলে এসেছি, ইংরেজি বছরের শেষে যখন নতুন বছরের শুরু হয় তখন

সেদিন একটি মেয়ে খুব দুঃখ করে আমাকে একটা চিঠি পাঠিয়েছে। মেয়েটি লিখেছে—সে যখন ছোট ছিল তখন স্কুলে রীতিমতো কাড়াকাড়ি করে বই পড়েছে। তাদের

১.   আমি বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখি। বেশিরভাগ সময়েই বাচ্চা-কাচ্চাদের জন্য লিখি বলে আমার লেখালেখিতে খুব দুঃখ

আমি জানি না সবাই লক্ষ্য করেছিল কিনা- শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছিল যে এখন থেকে এসএসসি আর এইচএসসি’র রেজাল্টের ভিত্তিতে