অসীম চক্রবর্তী , যুক্তরাজ্য

১৩ মার্চ, ২০১৫ ২৩:০৯

২৫০ বাংলাদেশি সহ ব্রিটেনের ডিটেনশন সেন্টারে ৫দিন ধরে চলছে বন্দিদের অনশন

যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম ডিটেনশন সেন্টার হারমন্ডসওয়ার্থ ডিটেনশন সেন্টারে গত রোববার থেকে অনশন শুরু করেন।বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, উন্নত জীবনমান, খাবার দাবার ও চিকিৎসা সেবার দাবীতে ব্যায়ামগারের বাইরে প্রায় ১০০ হাজতি এই অনশন শুরু করেন।

যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম ডিটেনশন সেন্টার হারমন্ডসওয়ার্থ ডিটেনশন সেন্টারে গত রোববার থেকে অনশন শুরু করেন।বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, উন্নত জীবনমান, খাবার দাবার ও চিকিৎসা সেবার দাবীতে ব্যায়ামগারের বাইরে প্রায় ১০০ হাজতি এই অনশন শুরু করেন। পরে তাদের সাথে আরো কয়েকশত হাজতি এই অনশনে যোগ দেন। যার মধ্যে প্রায় দুইশত পঞ্চাশ জনের মতো বাংলাদেশিও রয়েছেন। হোম অফিসের ভাষ্যমতে, কার্যকর অভিবাসন আইনে এই ডিনেটশন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে আটককৃতদের কল্যান মূলক সেবা দিয়ে থাকে।এবং এখানে ৬১৫ জন পুরুষবন্দি আটক আছেন যাদেরকে দেশে ফেরৎ পাঠানোর জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।সব প্রচেষ্টার পর শেষ অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করা হয় ডিনেটশন।

সব সুযোগ দেয়ার পরও স্বেচ্ছায় নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেননি তাদেরকেই আমরা আইনের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছি। অনশনকারী বাংলাদেশী যুবক জাকিরের ফোনে কথা বলেন সিলেটটুডের২৪ডটকম এর সাথে , তিনি জানান ‘’ মূলত ফার্ষ্ট ট্রাক ট্রাইবুনালের মাধ্যমে কাউকে কোন ধরণের সুযোগ না দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই চলছে আমাদের অনশন। কেউ কেউ বিনা বিচারে পাঁচ ছয় মাস যাবত এখানে বন্দি আছেন। কেউ আবার নিজের খরচেই দেশে যেথে ইচ্ছুক তাদেরকেও দেশে পাঠানো হচ্ছে না। কিছু বন্দী আছেন নিজেদের দেশে ফিরে গেলে সত্যিই যাদের জীবন বিপন্ন’’ জানা গেছে অনশনের কারণে ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের একটি ফ্লাইট বাতিল করেছে হোম অফিস। জাকির সহ বেশ কয়েকজন হাজতি বলেন বিশ্বমানবতার কাছে সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে আমাদের দাবীটুকু পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত