১৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ১৬:০৬
উৎসবমুখর পরিবেশ ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ দিবস সূচনা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শুদ্ধা জানান উপাচার্য। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ করে হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। পরে সময়ে বেলুন উড়ানো এবং কেক কাটার মাধ্যমে ৩৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন উপাচার্য।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনকালে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি শিশু জন্মের পর থেকে যেভাবে বেড়ে উঠে এই বিশ্ববিদ্যালয়ও সেভাবে বেড়ে উঠছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই। পাশাপাশি ভাষাশহিদ ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি শুদ্ধা জানাই।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সকলকে বার্তা দিয়ে আসছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্থান হয়েছে মানব সমাজের প্রত্যাশা পূরণ ও দেশকে অধিকতর আধুনিকরণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সকলের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় আমরা মানুষের সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সফলতার বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা দক্ষতার সাথে ছড়িয়ে পড়ছে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে। তাই এ সফলতাকে আরও সুদৃঢ় করতে, সারাবিশ্বে একটি অবস্থান তৈরি করতে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন ডিস্টিংগুইস অধ্যাপক নিয়োগ দিয়েছি। আশা করছি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শাবিপ্রবি বিশ্বের সেরা ৫'শ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিবে। এতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মন্তব্য