সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ মার্চ, ২০১৭ ১৮:৫৬

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে গণহত্যা দিবসের আলোচনা

২৫শে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের চেতনায় স্বাধীনতার সত্যিকারের চিত্র ফুটে উঠবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ বুকে ধারণ করে ছাত্র ও তরুণ সমাজকে বাংলাদেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেয়ার সংগ্রামে শামিল হতে হবে। ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দন আহমদ কামরান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, একাত্তরের অগ্নিঝরা ২৫ মার্চ বাঙালির জীবনে নেমে আসে নৃশংস ও বিভীষিকাময় কালরাত্রি। আর এদিন বাঙ্গালি জাতি তথা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছিল ইতিহাসের এক নৃশংসতম বর্বরতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গাজী সাইফুল হাসানের সঞ্চালনায় এবং উপাচার্য অধ্যাপক মো. সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের মতো হীন রাষ্ট্রের সাথে পূর্ব বাংলার যোগদান করাটা ঠিক হয়নি। বাংলাদেশে এখনো পাকিস্তানপন্থী স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র চলছে। এই সমস্ত ষড়যন্ত্র রুখতে নতুন প্রজন্মকে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ আর দেশপ্রেমকে বুকে ধারণ করে দেশের অগ্রযাত্রায় শরীক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একইসাথে ‘নষ্ট রাষ্ট্র’ পাকিস্তানের নাম মুখে নেয়াও পাপ বলে ক্ষোভের সঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি।


সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য ড. মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন হচ্ছে ২৫ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা অনুযায়ী আন্দোলনরত বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নিরস্ত্র, ঘুমন্ত মানুষকে বর্বরোচিতভাবে হত্যার ঘটনায় স্তম্ভিত হয় বিশ্ববিবেক। ‘২৫শে মার্চ তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, এটি ছিল নিছক গৃহযুদ্ধ’ স্বাধীনতাবিরোধীদের এমন অপপ্রচারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম. রবিউল হোসেন, সহকারী প্রক্টর এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন এবং আইন ও বিচার বিভাগের ছাত্রী রহিমা তালুকদার প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত