রাবি প্রতিনিধি

১৭ মে, ২০১৭ ১৪:২৫

প্রতারণামূলক ফোনকলে বিকাশ গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

প্রতারণামূলক ফোনকলের মাধ্যমে বিকাশ গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু প্রতারকদের চিহ্নিত করতে বা টাকা ফেরত পেতে এখনো নেই প্রতিষ্ঠানটির কোন কার্যকর পদক্ষেপ। ফলে একের পর এক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে।

এবার এমনই এক প্রতারণার শিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিমেল রায়।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুর ২টার দিকে এমন এক প্রতারণার ঘটনা ঘটে তার সঙ্গে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিমেল রায় বলেন, ওইদিন দুপুরে একটি গ্রামীণ নাম্বার থেকে আমার মোবাইলে কল আসে। রংপুর চকবাজার বিকাশ এজেন্ট থেকে তিনি বলছেন। এ সময় তিনি জানান, গত দুইদিন আগে আমার বিকাশে দুইশত টাকা এসেছে। টাকা আসার সত্যতা স্বীকার করলে কলকারী আমার অ্যাকাউন্টে বর্তমানে কত টাকা আছে তা জানতে চান। আমি সাতশ ১৬ টাকা আছে জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই ওই নাম্বার থেকেই সাতশ ১০ টাকা বিকাশের মতো করে এসএমএস আসে। ওই মেসেজে দেখা যায়, আমার অ্যাকাউন্টে মোট টাকা ১৪২৬.৯৪ টাকা।

কলকারী জানান, এক মহিলা কাস্টমারের টাকা ভুল করে আমার নাম্বারে চলে এসেছে। এ সময় তিনি অনুরোধ করেন, এখনই যেন তাঁর দেয়া নম্বরে বিকাশ করে পাঠিয়ে দিই।

টাকা আসার এসএমএস দেখে প্রথমে বিশ্বাস করেন নিমেল রায়। তিনি বলেন, কিন্তু আমার ফোনে আলাপচারিতা শুনতে পেয়ে রুমমেট খাইরুল রানা উঠে এসে জানায় এতে ঝামেলা থাকতে পারে। কারণ তিনি এর আগে এরকমই একটা ঘটনার শিকার হয়ে ২৫০০ টাকা খুয়া দিয়েছেন। পরে আমি বিকাশ অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখি ৭১৬ টাকাই আছে। পরে ফোনকারীরা প্রতারণা বিষয়টি আমি ধরে ফেলেছি। এ বিষয়টি বোঝার পর ফোনকারী আর ফোন রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।

রাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুল রানা বলেন, প্রায় সাত মাস আগে আমার কাছ থেকে এভাবে ২৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। টাকার এসএমএস আসলে আমি ব্যালেন্স চেক না করেই টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। পরে দেখি আমার অ্যাকাউন্টের ২৫০০ টাকা নেই। পরে বিকাশ কাস্টমার সার্ভিসে ফোন করেও কোন সুরাহা হয়নি।

এ রকম অনেক অভিযোগ আসছে উল্লেখ করে রাবি পরিবহন মার্কেটের বিকাশ এজেন্ট মোশারফ হোসেন বলেন, অনেকে অভিযোগ করছে। কিন্তু টাকা একবার বেহাত হয়ে গেলে সেগুলো আর ফিরত পাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই।

বিকেল ৪-১০টা বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস-এ (১৬২৪৭) ফোন করেন এই প্রতিবেদক। কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস জানায়, কাস্টমার এরকম প্রতারণার শিকার হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অভিযোগ করবে। পরে সে অনুযায়ী আমরা টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করব। কিন্তু টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে ফেললে সেই টাকা ফেরত আনা একটু কষ্টকর। আর গ্রাহকরা যেন এ ধরনের প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের সচেতনমূলক প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত