সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ মার্চ, ২০২২ ১৩:০৬

যুদ্ধজনিত মানবিক সংকট: ইউক্রেনের প্রস্তাবে বাংলাদেশের ভোট

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকটের অবসানে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্রাণ কার্যক্রমের সুযোগ দিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশন প্রস্তাবটি ১৪০ ভোটে পাস হয় বলে জানিয়েছে ইউএন নিউজ। বৃহস্পতিবার এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

সেই সঙ্গে ঠিক এক মাস আগে শুরু হওয়া রুশ আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেনে যে গুরুতর মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, সেজন্য রাশিয়ার সমালোচনা করা হয় ওই প্রস্তাবে।

জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ইউক্রেনের তোলা ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৪০টি দেশ। রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া- এই পাঁচটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ৩৮টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

এই প্রস্তাবের খসড়া তৈরির পর্যায়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল ৬৭ দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার আনা আরেকটি প্রস্তাবের ওপরও ভোটাভুটি হয়েছিল, যেখানে রাশিয়ার নাম আনা হয়নি। শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট ভোট না পাওয়ায় সেটি আর চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে যায়নি।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর মার্চ মাসের শুরুতে রাশিয়াকে আক্রমণ বন্ধ করে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে আরেকটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১৪১ দেশ, বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। বাংলাদেশের ওই অবস্থানের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ওই প্রস্তাবের লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার সমালোচনা করা, যুদ্ধ বন্ধ করা নয়।

মোমেন বলেছিলেন, আপনি যদি প্রস্তাবটা পড়েন, দেখবেন যে সেখানে যুদ্ধের অবসান চাওয়া হয়নি। ওটা ছিল কাউকে দোষারোপ করার জন্য। আমরা শান্তি চাই, সেজন্য আমরা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমরা। যুদ্ধের সপক্ষে আমরা ভোট দিইনি।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলে আসছে বাংলাদেশ। সরকারের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানানো হয়েছে সব পক্ষকে। ‘সংযম’, ‘কূটনীতি’, ‘আলোচনা’ এসব শব্দ ব্যবহার করে উত্তেজনা প্রশমনের কথা বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

দক্ষিণ এশিয়ার বড় দেশ ভারত এখন পর্যন্ত সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি কিংবা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানায়নি। গত ২ মার্চের মত বৃহস্পতিবারও তারা জাতিসংঘে ভোটদানে বিরত ছিল। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানও একই পথে হেঁটেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত