ওয়েব ডেস্ক

০৩ আগস্ট, ২০১৬ ১০:২৯

ম্যামথরা বিলুপ্ত হয় পানির অভাবেই

ম্যামথ নামটি শুনলেই সবার চোখে ভেসে উঠবে দীর্ঘ বাঁকানো দাঁত আর লম্বা লোমওয়ালা অতিকায় হাতির কথা।

বর্তমান হাতিদের পূর্বপুরুষ এই প্রাণী প্রাগৈতিহাসিক হলেও প্লায়োসিন থেকে হলোসিন যুগের মাঝামাঝি পর্যন্ত এশিয়া, আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যূথবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়াত। কিন্তু কীভাবে তাদের বিলুপ্তি ঘটেছিল, তা নিয়ে এত দিন অনেক মতপার্থক্য ছিল।

সম্প্রতি একদল পরিবেশ ও জীববিজ্ঞানী বিস্তারিত গবেষণার মাধ্যমে শেষ ম্যামথদের বিলুপ্তির আসল কারণ উদ্ঘাটন করেছেন। তারা বলছেন, আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছরেরও আগে পানিশূন্যতাতেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছিল সর্বশেষ ম্যামথের পাল।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, শেষ ম্যামথের পালগুলোর বিচরণ ছিল সম্ভবত বর্তমান আলাস্কার কাছাকাছি অঞ্চলে। সে সময়ে পৃথিবীতে চলছে বরফ যুগ। ফলে আলাস্কার কাছাকাছি স্থানটি ছিল প্রায় শুষ্ক ও পানিহীন। পানি না থাকায় বিশাল দেহের অধিকারী ম্যামথরা টিকে থাকতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের বিজ্ঞানীদের মতে, অন্যান্য অতিকায় হাতির তুলনায় এরা হয়তো ভিন্নভাবে বাঁচতে শিখেছিল। এ জন্যই এরা বরফ যুগের শেষ পর্যন্ত টিকে গিয়েছিল। কিন্তু তার পরেই পৃথিবী আবার উষ্ণ হতে শুরু করলে বাড়তে থাকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। লবণাক্ত পানি ঢুকে নষ্ট হতে শুরু করে মিঠা পানির উৎস। এবার আর তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে মিঠা পানির উৎসগুলো হারিয়ে তীব্র পিপাসাতেই ধুঁকে ধুঁকে মরতে হয়েছে ম্যামথদের।

গবেষক দলের প্রধান পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাসেল গ্রাহাম বলেন, জলাধার শুকিয়ে যেতে বাধ্য হয়ে ম্যামথরা তৃণভোজী হয়ে উঠেছিল। বর্তমানে যে তৃণভোজী হাতি আমরা দেখতে পাই, তারাও সেই পরিবর্তনেরই শিকার। বিবিসি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত