সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৪ আগস্ট, ২০১৬ ২৩:৫৩

ইমাম হত্যার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রে নিহত বাংলাদেশি ইমাম ও তার সহকারীকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে আততায়ীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি ইমাম ও তার সহকারীকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন নিউইয়র্ক বসবাসরত বাংলাদেশিসহ অসংখ্য মানুষ। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ওজোন পার্কের কুইন্স এলাকার যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়, সেখানে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

ব্রিটিশভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় গতকাল দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্ক কুইন্স এলাকার অংশে পেছন থেকে গুলি করে বাংলাদেশি ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন আখঞ্জী (৫৫) ও তাঁর সহকারী তারা উদ্দিনকে (৬৪) হত্যা করা হয়। জোহরের নামাজ শেষে কুইন্সের আল-ফুরকান জামে মসজিদ থেকে ফিরছিলেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তিকে বন্দুক হাতে পালিয়ে যেতে দেখেন। ইমাম আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা উদ্দিনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: বৃদ্ধা মাকে দেখা হলো না ইমাম আলাউদ্দিনের

শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে নিউইয়র্কের মুসলমানরা হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং এর বিচার দাবি করেন।

বিক্ষোভকারীরা অনেকে একে বিদ্বেষমূলক হামলা বলে দাবি করেন। আর এমন হামলার জন্য রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিমূলক বক্তব্যকে দায়ী করেন।

নিউইয়র্কের ব্রুকলিন এলাকার মসজিদ আল-আমানের প্রধান কবির চৌধুরী দাবি করেন, যেভাবেই দেখা হোক না কেন, এটি বিদ্বেষমূলক হামলা। তিনি আরো বলেন, এটি মানবতার বিরুদ্ধে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপরাধ। ইসলাম-ফোবিয়ায় আক্রান্তরাই এমন সমস্যা সৃষ্টি করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর কুইন্সের আল-ফুরকান জামে মসজিদের সামনে ধর্মীয় নেতারাসহ কমিউনিটির অনেকে জড়ো হন। সেখানে নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়।

স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনো এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি তারা। আর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ধর্মীয় বিশ্বাসের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় সিটি কাউন্সিলের প্রতিনিধি এরিক উলরিখ এক টুইটার-বার্তায় বলেন, ‘মুসলমানদের সঙ্গে নিউইয়র্কবাসী এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শোকাহত। প্রকাশ্য দিবালোকে ধর্মী নেতা যখন খুন হন, তখন আমাদের সবাইকে এক হয়ে বিচার দাবি করতে হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত