সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৩ আগস্ট, ২০১৬ ২০:৩৫

‘শরীর প্রদর্শণের অধিকার থাকলে, শরীর ঢাকার অধিকার থাকবে না কেন?’

ফ্রান্স, বেলজিয়াম বা নেদাল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতে বোরকা নিষিদ্ধ হয়েছে অনেকদিন৷ এছাড়া ইউরোপে এমন দেশও আছে, যেখানে কিছু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে হিজাব পরা নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ মুসলিমদের জন্য সাঁতারের পোশাক বুর্কিনিও৷

সম্প্রতি জার্মানিতেও শুরু হয়েছে বোরকা নিয়ে বিতর্ক৷ জানা গেছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়িই মুখ না ঢাকা বাধ্যতামূলক করে আইন প্রণয়ন করা হবে৷ অর্থাৎ নিষিদ্ধ করা হবে বোরকা৷ সব ক্ষেত্রে না হলেও গাড়ি চালানোর সময়, সরকারি কার্যালয়ে, অফিস-আদালতে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে দেশটির সরকার৷ এমনকি সাঁতারের পোশাক ‘বুর্কিনি’ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন৷

জার্মানির মুসলমান সমাজ এ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিভক্ত৷ মানবাধিকার আর ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতীক ভাবা হয় যে দেশটিকে, সেখানে এমন বিধি-নিষেধ কার্যকর করার কথা কীভাবে ভাবা হচ্ছে – তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷

জার্মান সাংবাদিক রেচেল বেগ কাজ করেন ডয়চে ভেলেতে৷ মুসলমান হলেও রেচেল নিজে বোরকা পরেন না, করেন না কোনোরকম পর্দাও৷ কিন্তু সকলেরই যে পোশাক নির্বাচনের অধিকার রয়েছে, তা তিনি বিশ্বাস করেন৷ তাই বিশ্বের সব সমুদ্র সৈকতে শুধু বিকিনি নয়, বুর্কিনিও দেখতে চান তিনি৷

তাঁর ভাষায়, “শরীর প্রদর্শণের যদি অধিকার থাকতে পারে, তবে শরীরকে ঢাকার অধিকার থাকবে না কেন? সমুদ্রে স্নান করার সময় কেউ চাইলে যেমন বিকিনি বা সাধারণ সুইমিং কস্টিউম পরতে পারে, তেমনি সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা বুর্কিনি পরতে পারবে না কেন? এতে অন্যদের সমস্যা কোথায়?”

ফ্রান্সে ৫০ লাখ মুসলমানের বাস৷ ফ্রান্স ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে বোরকা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়৷ ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল এই আইন কার্যকর হয়৷ বোরকা বা নেকাব পড়লে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনে৷ এ নিয়ে রেচেলের প্রশ্ন, “আমি কী ধরনের পোশাক পরবো, সেটা অন্য কেউ বলে দেবে কেন? এ নিয়ে আইন থাকবে কেন? কেনই বা থাকবে শাস্তি?”

সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে

আপনার মন্তব্য

আলোচিত