সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৪ আগস্ট, ২০১৬ ১০:২২

২০ বছর পর ট্রাম্পের অপমানের প্রতিশোধ নেবেন এই সুন্দরী

ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। সেটাই বুঝি সত্য হলো। ডনাল্ড ট্রাম্প ইটটি মেরেছিলেন এবার পাটকেল ছুঁড়লেন অ্যালিসিয়া ম্যাকাডো।

১৯৯৬ সালে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী। আর সে আসরের মালিক ছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। যিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

ভেনেজুয়েলার ওই সুন্দরী অ্যালিসিয়া ম্যাকাডো যখন সেরা সুন্দরী হলেন তখন ডনাল্ড ট্রাম্পের তা মনোপুত হয়নি। তখন তিনি যা-তা শুনিয়ে দিলেন অ্যালিসিয়াকে। তাকে মিস শূকরী! মিস গৃহকর্মী! এসব বলতেও ছাড়লেন না। এতে ভীষণ মন খারাপ করেছিলেন অ্যালিসিয়া ম্যাকাডো।

ট্রাম্পকে সাবেক মিস ইউনিভার্সের পাটকেল!

এখন বিশ বছর পর সময় এসেছে বদলা নেওয়ার।

ভেনেজুয়েলার এই নারী এখন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তখন তার বয়স ছিলো মাত্র ১৯ এখন পুরো ৩৯ বছরের প্রতিবাদী নারী। নাগরিকত্ব হাতে পাওয়ার পর প্রকাশ ঘোষণা দিলেন, ট্রাম্পকে হারাতেই তার এই ভোটাধিকার।

বললেন, ‘মিস হাউসকিংপিং, মিস পিগি ক্যান ভোট’। এই নামগুলোই সেদিন তাকে দিয়েছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।

মিয়ামিতে তার নাগরিকত্বের শপথ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে অ্যালিসিয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি, আমি এবার ভোট দেবো। আমি ভোট দিয়ে হিলারি ক্লিনটনকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবো।

এর আগেও অ্যালিসিয়া ম্যাকাডো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ট্রাম্পের সেই সময়ের আচরণে তিনি ভিষণ মুষড়ে পড়েছিলেন।

প্রকাশ্যে ট্রাম্প তাকে ওই কথাগুলো ছাড়াও ‘খাদক যন্ত্র’ বলতেও ছাড়েননি।

এদিকে, অ্যালিসিয়ার এই খবরে খুশি হিলারি ক্লিনটন। টুইট বার্তায় তিনি সাবেক এই ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে স্বাগত, ভোট দানের আনন্দ নাও অ্যালিসিয়া’।

অ্যালিসিয়া আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারলেন তার মেয়ের কল্যাণে। তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকেই কাজ শুরু করবেন যাতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ল্যাটিনোদের মধ্যে হিলারিকে ভোট দেওয়ার উচ্ছ্বাস তৈরি করতে পারেন।   

আপনার মন্তব্য

আলোচিত