নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ মে, ২০২৪ ২১:১৮

সংঘর্ষের পরদিন সিকৃবি ছাত্রলীগের দুই নেতা বহিষ্কার

সিকৃবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে  বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃতরা হলেন- সিকৃবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন।

সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. তানভীর হোসেন স্বাধীন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়াজুল ইসলাম (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) এবং আরমান হোসেন (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এ ব্যাপারে তানভির আহমদ বলেন, ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কখনোই ঝামেলা, হল দখল বা শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দেয় না। এ ধরনের ঝামেলা ছাত্রলীগ কামনা করে না। এ কারণেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। সাধারণ সম্পাদক মো. এমদাদুল হোসেনের মুঠোফোনেও একাধিকবার কল দিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি।

বহিস্কৃত ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই শৃংখলা পরিপন্থী কোনো কাজের সাথে জড়িত থাকে না এবং তা প্রশ্রয়ও দেয় না।‘

তিনি বলেন, ‘গতকালের হলের সিট সংক্রান্ত সাধারণ একটা ঘটনা আসলে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। আমরা রাতে বিষয়টি নিয়ে সকল নেতাকর্মীরা বসেছিলাম। আমরা সমাধানের পথে এগিয়েও গিয়েছিলাম। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এমন ঘোষণা এসেছে। যাই হোক আর কিছু বলবো না, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতি আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।‘

সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করে নি।

এর আগে গত শনিবার রাতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের আবদুস সামাদ আজাদ হলের ৫০৭ নম্বর কক্ষ দখল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা রিয়াজুল ইসলাম ও আরমান হোসেনের পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের একাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

ওই দুই নেতা ২০২২ সালের ৩০ জুলাই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আংশিক কমিটিতে স্থান পেয়েছিলেন। ১০ মে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি ঘোষণার দুইদিন না পেরোতেই সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত