সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৫ আগস্ট, ২০১৬ ০৯:২৭

ভূমিকম্পে ইতালিতে নিহত বেড়ে ১৬০

ইতালিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।

রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার এ ভূমিকম্পে আরও ৩৬৮ জন আহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু। ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে অনেক মানুষ। প্রায় চার হাজার ৩শ' উদ্ধারকর্মী ভারী সরঞ্জাম নিয়ে তাদের সন্ধান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৩৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৭টা) শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।

ইতালির রাজধানী রোমের ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে উমব্রিয়া প্রদেশের পেরুজিয়া শহরের নোরসিকা টাউনে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি অনুভূত হওয়ার ঘণ্টা পর একই এলাকায় কয়েকটি আফটার শক হয়, যার মধ্যে তীব্রতর শকটি ছিল ৫ দশমিক ৫ মাত্রার।

দেশটির মধ্যাঞ্চলের আমব্রিয়া, লাৎজিও এবং মার্কে প্রদেশে রাতভর জীবিতদের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

আক্রান্ত এলাকার শুধুমাত্র একটি শহরেই ৮৬ জন নিহত হয়েছেন।

ঐতিহাসিক আমাত্রিচে শহরের মেয়র বলেছেন, ভূমিকম্পে শহরটির তিন-চতুর্থাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে।

ভারী কাজে সহায়তা করার জন্য ইটালির সেনাবাহিনীকেও সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে।

দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী মাটিও রেনজি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভূমিকম্পের পরপরই রাতে সেখানে উপস্থিত হয়ে খালি হাতে জীবিতদের উদ্ধার করার জন্য তিনি স্বেচ্ছাসেবক এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের প্রতিও সম্মান জানান।

ভূমিকম্পে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া আরেকটি শহর আক্কুমোলির মেয়র স্টেফানো পেত্রুচ্চিস জানান, তিনি আর জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা করছেন না। এখন তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আক্রান্ত মানুষদের জন্য রাত কাটানোর সুব্যবস্থা করা।

মধ্য ইতালিতে ক্ষয়ক্ষতি হলেও পুরো ইতালিজুড়েই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দিনভর আরও কিছু ভূকম্পন অনুভূত হয় ওই এলাকায়।

সাম্প্রতিক সময়ে ইতালিতে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ২০০৯ সালে, যাতে তিন শতাধিক মানুষ মারা যায়। এছাড়া ২০১২ সালে নয় দিনের ব্যবধানে দুটি ভূমিকম্পে ২০ জনের বেশি নিহত হয়।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত