ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৭:৪৭

আসামের নাগরিক তালিকা নিয়ে বিতর্ক, শঙ্কায় বাঙালিরা

ভারতের আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা। প্রকাশিত এ খসড়া তালিকা থেকে প্রায় ৭০ শতাংশ বাঙালির নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে আসাম রাজ্যে বাস করেন এমন অনেক মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি ওই তালিকায়।

এ নিয়ে দেশটিতে চলছে তুমুল বিতর্ক। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ তালিকাই শেষ নয়। আরো তালিকা প্রকাশ করা হবে। আসামের বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকা থেকে জাতীয় নাগরিক তালিকায় নথিভুক্তির হার সবচেয়ে কম। ১৯৫১ সালের পর এই প্রথম আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে প্রকাশিত হয় ভারতের আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিক তালিকার প্রথম খসড়া। দেশটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার নেতা পরেশ বড়ুয়ার নাম রয়েছে প্রকাশিত এ খসড়া তালিকায়। পরেশ বড়ুয়ার পাশাপাশি এ তালিকায় তাঁর প্রয়াত মা মিলিকি বড়ুয়াসহ পরিবারের পাঁচজনের নাম উঠেছে। একই সঙ্গে উলফার অপর নেতা অরুণোদয় দোহতিয়া এবং বোড়ো জঙ্গিগোষ্ঠী এনডিএফবি নেতা বি বিদাইয়ের নামও উঠেছে।

এ তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—আসামের বিরোধী দলের নেতা ধুবড়ির সংসদ সদস্য অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) প্রধান বদরুদ্দিন আজমল, তাঁর ছেলে যমুনামুখের বিধায়ক আবদুল রহিম আজমল, তাঁর ভাই বরপেটার সংসদ সদস্য সিরাজুদ্দিন আজমল।

আসাম রাজ্যে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। বৈধ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি চেয়ে মোট তিন কোটি ২৯ লাখ আবেদনকারী আবেদন জমা দেন। এর মধ্যে এক কোটি ৩৯ লাখ মানুষের নাম উঠেছে প্রথম প্রকাশিত তালিকায়।

আসাম চুক্তি অনুসারে, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে যাঁরা এই রাজ্যে বসবাস করেছেন, শুধু তাঁরাই নাগরিকত্বের অধিকারী। সেই চুক্তি মেনেই এবার তালিকায় নাম তোলার প্রক্রিয়া চলছে। যদিও ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স-এর এই প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার বক্তব্য, প্রক্রিয়াটি চলছে। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত