সিলেটটুডে আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৮:১৬

‘লড়াই ছাড়া উপায় ছিলোনা’, ‘আরসা’র টুইট

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা বলছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে লড়াই করা ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো উপায় ছিলোনা। তাদের ভাষায়, রোহিঙ্গাদের ওপর যা হচ্ছে, তা মিয়ানমারের সরকার সমর্থিত সন্ত্রাস। রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যেভাবে হামলা-নির্যাতন চালাচ্ছিল, তাতে নিজেদের সম্প্রদায়ের লোকজনকে রক্ষার জন্য তাদের সামনে লড়াই ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ খোলা ছিল না।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষকে তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা উচিত বলেও মনে করে বিদ্রোহীরা। শনিবার রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ বা ‘আরসা’র এক টুইট বার্তায় এসব মন্তব্য করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আরসার নেতা আতা উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে টুইটারে। এতে তিনি লিখেছেন, 'রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ মানবিক চাহিদা মেটানো ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অবশ্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।'

গত শুক্রবার রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ফের মিয়ানমারের সেনাদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা। আরসা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তাদের সে আক্রমণের দায়িত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি জানিয়েছে তাদের এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বাঙালি সন্ত্রাসীদের দল ‘আরসা’ এই হামলা চালিয়েছে। আরসা’র একজন মুখপাত্র সেনাসদস্যদের ওপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।  রোহিঙ্গাদের সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘হ্যাঁ, সেনাবাহিনীর ওপর সর্বশেষ হামলার জন্য আরসা দায়ী।’ ইয়াঙ্গুন ভিত্তিক একটি ম্যাগাজিনের খবরে বলা হয়েছে, হামলায় আহত ৬ সেনা সদস্যকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

গত বছরের আগস্ট মাস থেকে রাখাইনে সহিংসতা চলছে। সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে ৬ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। জাতিসংঘ এই অভিযানকে জাতি নির্মূল আখ্যা দিয়েছে। তবে মিয়ানমার জাতিসংঘের এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু বাস্তবে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি অনেকটাই অনিশ্চিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত