সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জানুয়ারি, ২০১৮ ২২:৪২

পাকিস্তানে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

পাকিস্তানের কাসুর শহরে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে পাকিস্তানে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিার দূরে একটি ময়লার ভাগাড় থেকে সাত বছর বয়সী জয়নবের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গত দুই বছরে শহরটিতে ১২টি শিশু একই ধরণের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর পুলিশের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষুব্ধ জনতা এক পর্যায়ে কাসুরের পুলিশ সদরদপ্তরে হামলা করলে পুলিশ গুলি চালায়; সেখানেই দুই বিক্ষোভকারী নিহত হন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিশু অপহরণ, যৌন নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড থামাতে পুলিশ কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

অন্যদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত অন্তত ৫টি শিশু হত্যায় এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছেন তারা, যাকে ধরতে কয়েকশ কর্মকর্তা নিরলসভাবে কাজ করছেন। অপরাধীকে ধরতে ৯০ জন সন্দেহভাজনের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।   

লাহোরের ২০ কিলোমিটার দূরের শহর কাসুরে জয়নবের মৃত্যু পাকিস্তানজুড়েও তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেটার, চলচ্চিত্র তারকা ও রাজনীতিকরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন। টুইটারজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ‘জাস্টিস ফর জয়নব হ্যাশট্যাগ’; অপরাধীকে ধরতে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও।    

মক্তবে কোরান পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে জয়নব নিখোঁজ হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নিখোঁজের বিষয়টি জানানোর পরও তারা পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা দেখতে পাননি।

জয়নবের আত্মীয়রাই পরে একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেন, যেখানে সাত বছর বয়সী শিশুটিকে এক ব্যক্তির হাত ধরে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।

কাসুরে প্রায় প্রতি মাসেই এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। গত মাসে শহরটির সিটি সেন্টার থেকে নয় বছর বয়সী এক কন্যাশিশু নিখোঁজ হলেও পরে সে অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।  এ ঘটনায় শিশুটি মানসিকভাবে তীব্র আঘাত পায় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত