সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১১:২৩

জ্যাকব জুমার পদত্যাগ

ক্ষমতাসীন দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। তার এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশটিতে তার নয় বছরের শাসনামলের অবসান ঘটছে।

বুধবারের মধ্যে পদত্যাগ না করলে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে- এনএনসি'র এমন আল্টিমেটামের পর তিনি পদত্যাগ করেন।

পরে এক ভাষণে ৭৫ বছর বয়সী জুমা বলেন, ডিসেম্বরে সিরিল রামাফোসাকে পার্টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। এরপর এএনসি যেভাবে আমার আগাম বিদায়ের পথ তৈরি করেছে তার সঙ্গে আমি একমত নই। তবে দলের নির্দেশ মেনে নিচ্ছি।

দুর্নীতির নানা অভিযোগের কারণে বেশ কিছু দিন পদত্যাগের চাপে ছিলেন জুমা। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচন। এর আগে জুমাকে পদত্যাগে বাধ্য করার অন্যতম কারণ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধনী ব্যবসায়ী গুপ্ত পরিবারের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা।

প্রেসিডেন্ট জুমার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়িক সুবিধা নেওয়া ও রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে গুপ্ত পরিবারের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে গুপ্ত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রি স্টেট প্রদেশের ভ্রেদেতে দরিদ্র কৃষ্ণাঙ্গ কৃষকদের সহায়তার জন্য এস্তিনা ডেইরি ফার্ম প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। ওই প্রকল্পের নামে লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছে বলে গুপ্ত পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ফাঁস হওয়া কিছু ইমেইল থেকে তাদের এ দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে চলে আসে।

১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ শাসনের অবসানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে সবচেয়ে বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট জুমা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকে তার বিরুদ্ধে। ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হওয়া অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থতার দায়ে ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ আদালত জুমার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।

এর রেশ না কাটতেই গত বছর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ১৯৯৯ সালে স্বাক্ষরিত এক অস্ত্র চুক্তিতে দুর্নীতি, জালিয়াতি, কালোবাজারি ও মুদ্রা পাচারের ১৮ ধরনের অভিযোগে জুমার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। শেষ পর্যন্ত গত বছরের শেষ দিকে এএনসির শীর্ষপদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয় জুমাকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত