ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৪ জুলাই, ২০১৫ ০১:৫৪

গ্রিসের ঋণ সংকট প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছালো ইউরোজোন

গ্রিসের ঋণ সংকট নিয়ে দফায় দফায় আলোচনার পর রোববার ইউরোজোনের নেতারা তৃতীয় গ্রিক বেইল আউট (অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার) প্রশ্নে সর্বসম্মতিক্রমে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, গ্রিসের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার (বেইলআউট) প্রশ্নে নেতৃবৃন্দ ‘নীতিগতভাবে’ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন যার অন্য অর্থ হল গ্রিসকে অব্যাহতভাবে সহায়তা করা।

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস সাংবাদিকদের বলেন, গ্রিস কঠিন যুদ্ধে জয়লাভ করেছে এবং ইউরোপের সবাইকে মর্যাদার বার্তা দিয়েছে।

তিনি বলেন, কঠিন যুদ্ধের পর গ্রিস ৩৫ বিলিয়ন ইউরোর ‘প্রবৃদ্ধি প্যাকেজ’ অর্জন করেছে এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের ঋণ পুনর্বিন্যাসে জিতেছে।

ইউরোজানের দাবি অনুযায়ী গ্রিসকে আগামী বুধবারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কারে উত্তীর্ণ হতে হবে। সমঝোতা না হলে গ্রিসের ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আশংকার প্রসঙ্গে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যাঁ ক্লদ জাঙ্কার বলেন, ঐকমত্যে পৌঁছানোর অর্থ হল গ্রিস ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস বলেন, তিনি বিশ্বাস ও আশা করেন, ইউরোজোন থেকে গ্রিসের বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এখন অতীত। তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি কঠিন। তবে অর্থনীতিকে অবরুদ্ধ করার পরিকল্পনা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার ধস আমরা এড়াতে পেরেছি।’

গ্রিসের স্বল্পমেয়াদী চাহিদা মেটাতে অর্থনৈতিক সহায়তার প্রশ্নে আলোচনা করতে ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা সোমবার বিকেলে আবারো বৈঠকে বসছেন।

ইউরোজোন অর্থমন্ত্রীদের গ্রুপের প্রধান জেরোয়েন ডিজসেলব্লোয়েম বলেন, সমঝোতায় ৫০ বিলিয়ন ইউরোর গ্রিস-ভিত্তিক সম্পদ তহবিল অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ বিলিয়ন ইউরো গ্রিসের ব্যাংকগুলোর মূলধন হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

ইউরোজোনের অন্যান্য দেশের পার্লামেন্টেও নতুন যেকোন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের অনুমোদন করে নিতে হবে। জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সোমবার সকালে বলেন, ‘পথ অনেক দীর্ঘ হবে এবং রাতের আলোচনার ফলাফল কঠিন।’

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেন, সমঝোতা ইউরোপকে ‘অখন্ডতা ও সংহতি রক্ষার’ অনুমতি দিয়েছে। ইউরোজোনের নেতারা ১৭ ঘন্টারও বেশি সময় ব্রাসেলসে বৈঠক করেছেন। রাতেও তাদের আলোচনা অব্যাহত থাকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত