আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ জুলাই, ২০১৫ ২৩:২২

উত্তর কোরিয়ায় ভোট, ব্যালটে একটাই নাম!

দেশের নাম ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া হলেও ডেমোক্র্যাসি বা গণতন্ত্রের স্বাদ পায় না উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দারা। গোটা দেশের একজনই নেতা। সুপ্রিম লিডার, কিম জং উন। আর ভোট সেখানে নিছকই প্রহসন। 

তবুও স্থানীয় নির্বাচনে একটু হলেও নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলেন উত্তর কোরিয়ার মানুষ। কিন্তু শুনতে ভোট মনে হলেও, আদতে সাধারণ মানুষকে ঘাড় ধরেই বুথে নিয়ে যাওয়ার সামিল।

উত্তর কোরিয়ার নির্বাচন। ভোট না দিলেই সে দেশে বিশ্বাসঘাতক তকমা জোটে। যখন তখন খুনও হয়ে যেতে পারেন তাঁরা।

শুধু তাই নয়, ব্যালট পেপারে একটাই নাম। অর্থাত্‍‌ প্রার্থী ঠিক করাই আছে। তাঁকেই ভোট দিতে হবে। না দিলেই গর্দান যাবে। অর্থাত্‍‌‌, ভোট না-দিলেই জীবনহানির আশঙ্কা।

উত্তর কোরিয়ায় ১৭ বছর বয়স হলেই ভোট দেওয়া আবশ্যিক। কোনও ব্যক্তি ভোট না দিলে তাঁকে বিশ্বাসঘাতকের তকমা দেওয়া হয় সরকারি ভাবে। তাই শাসকের ভয়ে সিঁটিয়েই বুথমুখী হয় জনতা। এবারের ভোটেও তা-ই হল। দেশে ভোট পড়েছে প্রায় ১০০ শতাংশ। বিভিন্ন সূত্রের খবর, ০.০৭ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ায় ভোট মানে বেসরকারি ভাবে আদমসুমারি। ভোটের সংখ্যা থেকেই দেশের জনসংখ্যার হিসেব পাওয়া যায়।

উত্তর কোরিয়ার মোট জনসংখ্যা ২ কোটি ৪৯ লক্ষ। এর মধ্যে ২১.৫ শতাংশের বয়স ১৫-র নীচে। ১৬.৩ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। কমবেশি ১ কোটি ৮৮ লক্ষ উত্তর কোরিয়াবাসী ভোটদানের যোগ্য। অর্থাত্‍‌ মোটামুটি ১৩ হাজার ১৬০ জন মানুষ ভোট দেননি। বলা ভালো, এই মানুষগুলি প্রাণ বাজি রাখলেন। ২০১৪ সালেও ১০০ শতাংশ ভোট পড়েছিল।

সূত্র: এইসময়

আপনার মন্তব্য

আলোচিত