আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৪:০৭

গ্রেপ্তার নয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে সিবিআই অফিসে হাজিরের নির্দেশ

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

বহুল আলোচিত সারদা দুর্নীতির তদন্ত ইস্যুতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। একই সাথে রাজিব কুমারকে সিবিআই অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে সারদা দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে রাজিব কুমারকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এই নির্দেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে সর্বোচ্চ আদালতের এ রায়কে গণতন্ত্রের বিজয় বলে অভিহিত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর: এনডিটিভি ও আনন্দবাজার।

বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টই বলে দিয়েছে, সিবিআই ডাকলে জেরায় আসতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে। সেটা কলকাতায় হবে না। হবে শিলংয়ে। কেউ কেউ এটাকে তাঁদের জয় বলছেন। আমরা আর কী বলতে পারি?

বছর ছয়েক আগে এমএলএম ব্যবসার ফাঁদে ফেলে সারদা গ্রুপ সাধারণ মানুষের ২০ হাজার কোটি রুপি হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। মমতার তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল ওঠে।

ওই কেলেঙ্কারি তদন্তের জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে প্রধান করে কমিটি করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে যেসব তথ্যপ্রমাণ তিনি জব্দ করেছিলেন, সেগুলো সিবিআইর কাছে হস্তান্তর করেননি বলে অভিযোগ ওঠে।

বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাসহ তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতেই তথ্যপ্রমাণ গায়েব করেছেন ওই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কয়েক দফা নোটিশ দিয়েও রাজীবের সাড়া পায়নি সিবিআই।

এরই মধ্যে রোববার সন্ধ্যায় কলকাতার লাউডন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে হাজির হন সিবিআই কর্মকর্তারা। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ প্রথমে সিবিআই কর্মকর্তাদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।

একপর্যায়ে সিবিআই কর্মকর্তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। 'নজিরবিহীন' এ ঘটনায় পুরো শহরে শোরগোল পড়ে যায়। এর পরপরই পুলিশ কমিশনারের বাসায় হাজির হন মমতা।

সেখানে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র এবং এডিজি অনুজ শর্মাকে নিয়ে তিনি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ মিলে বাংলায় 'ক্যু' করার চেষ্টা করছেন। ক্ষমতায় ফিরবেন না বুঝে মোদি পাগল হয়ে গিয়েছেন। মমতা ঘোষণা দেন, মোদি সরকারের হাত থেকে 'সংবিধান বাঁচাতে' তিনি ধরনায় বসবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত