সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ আগস্ট, ২০১৬ ২২:২৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত এ মানবতাবিরোধী অপরাধীর নাম ফুল মিয়া। তার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) মুক্তিযোদ্ধা মো. আউয়াল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুলতান সোহাগের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আসামি মো. ফুল মিয়ার (৭৫) বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অগ্নিসংযোগসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত ফুল মিয়া নবীনগর উপজেলার বগডহর গ্রামের বাসিন্দা।

২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য থাকাকালে কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া আহ্বায়ক কমিটি করায় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বাদীর আইনজীবী সৈয়দ তানভীর হোসেন জানান, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

চার অভিযোগ-
প্রথম অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ১৬ই মে রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের স্ত্রী জোহরা তাজউদ্দিনকে ভারতে যাওয়ার সময় বুড়ী নদীর কনিকারা মোড়ে পথরোধ করেন। এ সময় তার ছেলে-মেয়েকে আটক রেখে সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে দেন ‘রাজাকার কমান্ডার’ মো. ফুল মিয়া।

দ্বিতীয় অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর ফুল মিয়া হানাদার বাহিনীকে নিয়ে জেলার শ্রীরামপুর গ্রামে ১৩ হিন্দু-মুসলমানকে হত্যা এবং শতাধিক ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। পরদিন নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ বাজার লুট ও অগ্নিসংযোগ করেন।

তৃতীয় অভিযোগ : ১৪ ডিসেম্বর নবীনগর উপজেলার সাহেবনগর গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা মো. মোকাদ্দুছ মিয়াকে ধরে এনে নবীনগর গার্লস হাইস্কুলের সামনে পাক হানাদার বাহিনীর সহায়তায় বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন ‘রাজাকার কমান্ডার’ ফুল মিয়া।

চতুর্থ অভিযোগ : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর গ্রামে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে বগডহর গ্রামে ধরে এনে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল করিমসহ কয়েকজনের নির্দেশে ফুল মিয়া খুন করে লাশ বুড়ী নদীতে ফেলে দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত