সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ মে, ২০১৮ ১২:৩৯

যুদ্ধাপরাধ: ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার ফকিরের রায় বৃহস্পতিবার

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার আলবদর বাহিনীর প্রধান রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের রায় ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার (১০ মে)।

প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ২১ মার্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বুধবার ট্রাইব্যুনাল জানায়, ওই রায় দেওয়া হবে বৃহস্পতিবার। ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি হবে ৩২তম রায়।

এ মামলায় ট্রাইবুনালে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেষ সাহা। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

এ মামলায় প্রাথমিকভাবে তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলও অভিযোগ গঠনের আগে গ্রেপ্তার আসামি আমজাদ আলী কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেলে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
আরেক আসামি ওয়াজ উদ্দিন মারা যান পলাতক অবস্থায়। অভিযোগ গঠনের পর তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হলে ট্রাইব্যুনাল তার নামও বাদ দেয়।

২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। আসামি রিয়াজ উদ্দিন ফকির গ্রেপ্তার হয়ে আছেন কারাগারে।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকউশনের তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, একাত্তরে রিয়াজ উদ্দিন ফকির ছিলেন আলবদর সদস্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে দেওয়া অভিযোগপত্রে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২২ অগাস্ট থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে ফুলবাড়িয়া উপজেলার বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড, রাঙ্গামাটিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন বানা নদী, দিব্যানন্দ ফাজিল মাদরাসা, ফুলবাড়িয়া ঋষিপাড়া, আছিম বাজার ও ভালুকজান গ্রামে আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান বলে উল্লেখ করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত