সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৭:১০

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাখাওয়াত সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

যশোরের সাবেক সাংসদ মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এই মামলায় অন্য তিন আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

সাখাওয়াত হোসেন ছাড়া অন্য যে আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম, মো. লুৎফর মোড়ল এবং মো. আব্দুল খালেক মোড়ল।

আসামিদের মধ্যে ওজিহার মোড়ল, মো. আকরাম হোসেন ও মশিয়ার রহমানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

১২ জনের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. আকরাম হোসেন ও অজিহার মোড়ল ওরফে ওজিয়ার মোড়ল।

যশোরের কেশবপুর আসনের সাংসদ সাখাওয়াত হোসেনকে গত বছরের ২৯ অক্টোবর এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া বাকি আসামিদের মধ্যে কয়েকজনকে গত ১২ মে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকজন এখনো পলাতক।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

গত ২৬ জুলাই ১২ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। এতে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।

গত ১৬ জুন সাখাওয়াতসহ যশোরের কেশবপুরের ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা।

সাখাওয়াতসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালে যশোরে মামলা দায়ের করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

২০১২ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ মামলায় তদন্ত শুরু করে গত ১৩ জুন শেষ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান।

সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে একই অপরাধে আরও ১১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে এ মামলায় মোট আসামি হন ১২ জন। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ১২ মে বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ওইদিন রাতেই তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করার পর ১৩ মে হাজির করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল। মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩২ জনকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত