সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:১৮

কবে হবে ফাঁসি?

আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের অনুলিপি প্রকাশের পর রিভিউ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ৫৩ দিনের মাথায় যুুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিলো। সে হিসেবে আগামী দুই মাসের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি হতে পারে।

প্রচলিত রীতি অনুসারে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর রিভিউ আবেদনের জন্য ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়। কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের রায়ের ৪৮ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। তবে ওই যুদ্ধাপরাধীর রিভিউ পিটিশনের সুযোগ না থাকায় পূর্ণাঙ্গ রায়ের ৭ দিনের মধ্যে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

মুজাহিদ ও সাকা’র রিভিউ পিটিশন খারিজ হলে কার্যত আসামী পক্ষের আর কোনো আইনী লড়াই অবশিষ্ট থাকবে না। সর্বশেষে পর্যায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করলে কিংবা অপরাধী প্রাণ ভিক্ষা না চাইলে রায় কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে কারা কর্তৃপক্ষ।

বুদ্ধিজীবী হত্যার নেপথ্য নায়ক বদর নেতা মুজাহিদের আপিলের চূড়ান্ত রায়ে গত ১৬ জুন মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ। চূড়ান্ত রায়ের আড়াই মাস পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলো। একইদিনে চূড়ান্ত রায়ের এক মাস পর সাকা’কে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে । গত ২৯ জুলাই যুদ্ধাপরাধী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লাকে প্রথমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ের ৪৮ দিনের মাথায় ৫ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ের ৭ দিনের মাথায় ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো হয়েছিলো মিরপুরের কসাইকে। অর্থাৎ আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হওয়ার ১১০ দিনের (৫৫+৪৮+৭) মাথায় কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

কামারুজ্জামানের মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির রায় হয় ২০১৩ সালের ৯ মে। আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হওয়ার ৪৬ দিনের মাথায় ৩ নভেম্বর, ২০১৪ মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ের ১০৭ দিনের মাথায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। রিভিউ আবেদন খারিজ হলে পূর্ণাঙ্গ রায়ের ৫৩ দিনের মাথায় ১২ এপ্রিল ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। সে হিসেবে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হওয়ার ২০৬ দিনের (৪৬+১০৭+৫৩) মাথায়।

গত পাঁচ বছরে ১৩ জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষ হয়েছে । এদের মধ্যে রাজাকার-আলবদর বাহিনীর ১২ জন যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ৯ জনকে দেয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। সেই সঙ্গে তিন জনকে দেয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড।

যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের রায় কার্যকর করা হয়েছে। এখন সদ্য প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির অপেক্ষায় দিন গণনা চলছে।

সূত্র : চ্যনেল আই অনলাইন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত