সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০৩

ধর্ষণের বিচারের দাবিতে অনশনে থাকা ছাত্রী হাসপাতালে

ধর্ষণের বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশনে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শনিবার রাত নয়টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশনে বসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী।

গত ২১ ও ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ, অপহরণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চরিত্রহননের অভিযোগে হাসান, নুর এবং তাদের চার সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করেন এই শিক্ষার্থী। প্রথম মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হাসানকে। ধর্ষণে সহযোগিতা করায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকেও আসামি করেছেন তিনি।

মামলার ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা ও কর্মী আবদুল্লাহ হিল বাকির বিরুদ্ধে।

মামলা দায়েরের দুই সপ্তাহ পরেও আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে অনশনে বসেন ওই ছাত্রী।

তার অভিযোগ, ধর্ষকরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। মামলা তদন্তের স্বার্থে তিনি একাধিকবার থানায় যোগাযোগ করার কথাও বলেছেন।

মামলার এজহারে ওই ছাত্রীর ভাষ্য, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পড়া এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কাজে থাকার কারণে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সুযোগ নিয়ে মামুন চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি তার লালবাগের বাসায় নিয়ে তাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন। পরে সোহাগও তাকে ‘ধর্ষণ করেন’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

এজাহারে বলা হয়, প্রতিকার চেয়ে ওই তরুণী নূরের সঙ্গে দেখা করেন। নূর তাকে প্রথমে মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে অপপ্রচার চালিয়ে সম্মানহানি করার হুমকি দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত