সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ অক্টোবর, ২০২০ ২১:৩০

মানবতার সেবাই চিকিৎসকের প্রধান কাজ: প্রধানমন্ত্রী

মানবতার সেবাই একজন চিকিৎসকের প্রথম ও প্রধান কাজ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশা করি যে কোন পরিস্থিতিতে আপনারা (চিকিৎসক) আপনাদের দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানাস্থেসিওলজিস্টস’ আয়োজিত ‌‌‘ক্রিটিকাল কেয়ার-২০২০’ শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক ই-সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, ‘চিকিৎসা একটি মহান পেশা। একজন অসুস্থ মানুষের সেবা করে একজন চিকিৎসক মূলত মানবতার সেবা করেন। সুতরাং আপনি যখন ডাক্তার হবেন আপনার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে মানবতার সেবা করা। আশা করি যেকোন পরিস্থিতিতে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।’

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের শ্রম ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা এবং চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমই পারে বাংলাদেশে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। আমাদের সৌভাগ্য বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার দুটোই কম। আশা করি আগামী দিনগুলোতে এই মহামারির আরও বিস্তার রোধ করতে আমরা সক্ষম হবো।’

এ সময় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। মহামারি মোকাবিলায় দায়িত্ব পালনকালে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টসহ উল্লেখ্যযোগ্য চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও স্বজন হারানো পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

এ সময় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। মহামারি মোকাবিলায় দায়িত্ব পালনকালে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টসহ উল্লেখ্যযোগ্য চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও স্বজন হারানো পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে আমার সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই আমরা শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে, ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ চিকিৎসার সেবা সম্প্রসারণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা দেশে বেশ কয়েকটি নতুন বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করেছি। আমাদের শক্তিশালী বেসরকারি সেক্টরও চিকিৎসা সেবা প্রদানে এগিয়ে এসেছে। গ্রামের মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদানে আমরা প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র করেছি। সেখানে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করছে সরকার।’

বাংলাদেশে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টস সোসাইটির ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টস সোসাইটি কোভিড আইসিইউ ম্যানেজমেন্টে জাতীয় নির্দেশিকা প্রস্তুত করতে সহায়তা করেছে। তারা সারা দেশে আইসিইউ সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং করোনা রোগী ম্যানেজমেন্টে আইসিইউ ডাক্তার এবং স্টাফদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’

সংকটাপন্ন রোগীদের ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি অ্যানাস্থেসিওলজিস্টরা অপারেশন থিয়েটারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারিতে আমাদের অ্যানাস্থেসিওলজিস্টসরা দুর্দান্ত কাজ করে চলছেন। আমরা তাদের অবদানকে যথাযথ ভাবে স্বীকৃতি দেব।‘

এ সময় গুরুতর রোগীদের সেবায় সর্বশেষ জ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টসদের প্রতি অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত