সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ অক্টোবর, ২০২০ ১৯:০৬

এবি ব্যাংকের সাবেক ৩ কর্মকর্তাসহ ৪ জনের কারাদণ্ড

এবি ব্যাংক লিমিটেডের তিন কর্মকর্তাসহ চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিন কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় এ কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আসামিরা হলেন– এবি ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক আবু সালেহ মো. আব্দুল মাজেদ, মহাখালী করপোরেট শাখার সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক এ এল এম বদিউজ্জামান, একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়া এবং মেসার্স ওয়ান থ্রেড অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ ও বুশরা অ্যাসোসিয়েটসের মালিক খন্দকার মেহমুদ আলম (নাদিম)।

সূত্র জানায়, আবু সালেহ মো. আব্দুল মাজেদকে দুদক আইনের ৫(২) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড, এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ এল এম বদিউজ্জামান এবং ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়াকে দুদক আইনের ৫(২) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

খন্দকার মেহমুদ আলমকে দুদক আইনের ৪০৯ ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড ও দুই কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া দণ্ডবিধি আইনে ৪৬৮ ধারায় চার বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। দণ্ডবিধি আইনে ৪৭১ ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। বিভিন্ন ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার বিবরণীতে দেখা যায়, তিন কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী। তিনি মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালতে বিভিন্ন সময়ে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত