যারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে তাদের নজরদারি করা হবে উল্লেখ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সরকারের হস্তক্ষেপের ইচ্ছা নেই। সরকারের কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা যে কেউ করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে তখন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে যখন ধারাবাহিক মিথ্যাচার করা হয়।’

তিনি বলেন, যেকোনো সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই, তবে মিথ্যাচারকে নয়।

রিপোর্টিংয়ের সততা থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর আগে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে অনেক মিথ্যাচার হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে ভারত নিয়ে মিথ্যাচার।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকটের প্রেক্ষাপটে মুক্ত গণমাধ্যম এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলমের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্সান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ও অফিসপ্রধান সুজান ভাইজ প্রমুখ। ইউনেস্কো, টিআইবি এবং আর্টিকেল নাইনটিন যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান ভূমিদস্যুতা, উন্নয়নের নামে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করা, নগরায়ণের নামে জবরদখল এখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। পরিবেশের ওপর এমন আগ্রাসনে ক্ষমতাসীনদের একাংশ লাভবান হচ্ছে বিধায় এদের সুরক্ষা দিচ্ছে তারা। এসব নিয়ে যারা কাজ করবে– গণমাধ্যমসহ সুশীল সমাজ, তেমন পরিবেশ দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে। আইনের মধ্যেও রয়েছে দুর্বলতা। যাদের আইন প্রয়োগ করার কথা, জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা, তাদেরও যোগসাজশ রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২৩টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে; ৪৩ জন সাংবাদিক হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন এই কাজ করতে গিয়ে। বিভিন্ন সংস্থার ফান্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘সাংবাদিকতা সারাবিশ্বেই চ্যালেঞ্জের মুখে। পরিবেশবিষয়ক সাংবাদিকতা একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং। ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা কোনো একটা কাজ করতে গেলে, বিপদে পড়লে কেউ পাশে থাকে না।’