ওয়েব ডেস্ক

২৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ১২:১৬

পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কতটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়?

আইন প্রয়োগের কাজটি করতে গিয়ে অনেকে ভুল করে ফেলেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু পুরো বাহিনীকে এ জন্য দোষারোপ করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশে আজ থেকে শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে পদক দেওয়া হবে এই পুলিশ সপ্তাহে। এ ছাড়া গত বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং আগামী বছরের কর্মপরিকল্পনাও নির্ধারণ করা হবে।

কিন্তু এবারের পুলিশ সপ্তাহ এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন সম্প্রতি কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানুষকে হেনস্তা করার জোরালো অভিযোগ এসেছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন বা নির্যাতনের যেসব অভিযোগ উঠেছে কোনো কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে, সেগুলো পুলিশ বাহিনীতে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়?

পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলছেন, পুলিশ আইন প্রয়োগের কাজ করেন। সেটা অনেকে সুচারু ভাবে করতে পারেন, কেউ কেউ সেভাবে পারেন না। ভুল করেন অথবা বাড়াবাড়ি করেন। কিন্তু এগুলো পুলিশ খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

কিন্তু এ রকম একটি অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ সেটিকে প্রত্যাখ্যান বা নাকচ করার যে চেষ্টা করে, সেটা কেন?

মোখলেসুর রহমান বলছেন, এ রকম ঘটনা যে একেবারেই ঘটেনা তা নয়। যখন কোনো একজন ব্যক্তির জন্য পুরো বাহিনীর ওপর দোষ এসে পড়ে, তখন বাহিনীর সম্মান রক্ষার সেই ব্যক্তিটিকে বাদ দিয়ে অন্যদের পক্ষ নেওয়া হয়। পুরো বাহিনী যাতে কালিমালিপ্ত না হয়, সে জন্যই এটা করা হয়।

তিনি বলছেন, পুলিশকে আইনে আলাদা কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধ করলে, তাকে অপরাধী হিসাবেই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কেউ যদি পুলিশের কাছে হেনস্তার শিকার হন, তাহলে সেখানকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। বা পুলিশ সদর দপ্তরেও সরাসরি অভিযোগ পাঠাতে পারেন।

মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের কাজে তিনি জনগণের সহায়তা কামনা করেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত