নিউজ ডেস্ক

২৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ০৯:১৬

দুই যুগ আগের মামলায় হাওলাদারকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে ফেরার এক সপ্তাহের মধ্যে ২৩ বছর আগের দুর্নীতির এক মামলায় এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে যশোরের একটি আদালত।

যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা সোমবার এই নির্দেশ দেন। একই সময় এ মামলার অপর আসামি মীর শহিদুল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।

গত ১৯ জানুয়ারি হাওলাদারকে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, যা নিয়ে দলটিতে মতবিরোধ চলছে।

আদালতে সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, হাওলাদারের বিরুদ্ধে এই মামলাটি হয়েছে ১৯৮৮ সালের ঘটনা নিয়ে। তখন তিনি এরশাদের মন্ত্রিসভায় ছিলেন।

নওয়াপাড়ায় বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলে চাকরি করার সময়ে ১৯৮৮ সালের ৬ মে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সময়রক্ষক ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর শহিদুল্লাহ চাকরিচ্যুত হন।

১৯৮৯ সালের ১৭ অগাস্ট বেতন না নেওয়া ও অন্য বিভিন্ন শর্তে শহিদুল্লাহর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ২৩ অগাস্ট তিনি চাকরিতে যোগ দেন।

বেতন না নেওয়ার কথা থাকলেও শহিদুল্লাহ বেতন বাবদ ১ লাখ ৬১১ টাকা উত্তোলন করেন ১৯৯০ সালের ৩০ অগাস্ট। এতে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে মন্ত্রী হাওলাদার, তৎকালীন বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক নুরুল হক ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে।

এরশাদের পতনের পর এই অনিয়মের ঘটনায় যশোর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বিলুপ্ত হওয়ার পর এখন কমিশন) তৎকালীন পরিদর্শক সুখরঞ্জন জমাদ্দার বাদী হয়ে ১৯৯২ সালের ২৮ জুলাই অভয়নগর থানায় মামলা করেন।

মামলায় এই চারজনকে আসামি করা হলেও তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবুল বাসার শহিদুল্লাহ ও হাওলাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। অব্যাহতি পান বেঙ্গলের দুই কর্মকর্তা নুরুল হক ও হুমায়ুন কবির।

কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম বলেন, “১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি রুহুল আমিন হাওলাদার যশোরের আদালত থেকে জামিন নেন। এরপর আর তিনি আদালতে হাজিরা দেননি। তবে এর মধ্যে তিনি হাই কোর্টে কোয়াশমেন্ট আবেদন ও সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল করেন।

“উচ্চ আদালতে করা প্রতিটি আবেদন খারিজ হওয়ার সাথে সাথে রুহুল আমিনকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। সব আবেদন খারিজ হওয়ার পর নিম্ন আদালতে আবার বিচারকাজ শুরু হয়েছে।”

মীর শহিদুল্লাহ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ কেরুয়া গ্রামের মীর আবদুর রশিদের ছেলে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত