সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১২:৫৭

মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্তকারী বিজ্ঞানী দলে আরেক বাংলাদেশি শাহরিয়ার

মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্তকারী বিজ্ঞানী দলে বাংলাদেশের দীপংকর তালুকদারের থাকার খবর আগেই জানা গিয়েছিল। বেশ কয়েকটি বিজ্ঞানী দলের সম্মিলিত সাফল্যে আবিষ্কৃত পৃথিবীব্যাপী আলোড়ন তোলে  মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করার ঘটনায় বাংলাদেশের আরেক সন্তান সেলিম শাহরিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী দলকে।

১১ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা ঘোষণা দিয়েছেন, ১৩০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে দুটি কৃষ্ণগহ্বরের মিলনের ফলে যে তরঙ্গ উঠেছিল, তার সংকেত এসে ধরা পড়েছে তাঁদের যন্ত্রে। এই যন্ত্র তৈরিতে অবদান রেখেছেন বাংলাদেশের পাবনা জেলার বেড়ার সন্তান অধ্যাপক সেলিম শাহরিয়ার। নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাককরমিক স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বুলেটিনে তাঁকে নিয়েই শিরোনাম করা হয়েছে, ‘সেলিম শাহরিয়ার অবদান রেখেছেন মহাকর্ষ তরঙ্গ আবিষ্কারে’।

১৯৬৪ সালে জন্ম নেয়া সেলিম শাহরিয়ারের বিপিন বিহারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক আর ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় দশের মধ্যে ছিলেন । ১৯৮২ সালে চলে যান এমআইটি বা ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে।

সেলিম শাহরিয়ার নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎকৌশল ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক। পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানেরও অধ্যাপক। এবং অ্যাটমিক অ্যান্ড ফোটোনিক টেকনোলজি ল্যাবরেটরির (এপিটিএল) পরিচালক। বস্তুত এই মহাকর্ষ তরঙ্গ যে শনাক্ত করা গেছে, সে বিষয়ের প্রবন্ধগুলো ফিজিক্যাল রিভিউ লেটারসে অধ্যাপক সেলিম ও তাঁর তিন শিক্ষার্থীরই লেখা। ১০ বছর ধরে সেলিম কাজ করছেন লাইগোর তরঙ্গ শনাক্তকারী যন্ত্রের সংবেদনশীলতা ও ব্যান্ডউইট্থ বাড়ানোর জন্য। লাইগো (এলআইজিও) মানে হলো লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বুলেটিনে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে আইনস্টাইনের ১৯১৫ সালের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের সূত্র টেনে সেলিম বলেছিলেন, ‘আইনস্টাইন যখন এই ধারণা দেন, তখন এটা ছিল কল্পনারও অতীত যে আমরা এত সূক্ষ্ম পরিমাপ করতে পারব। এটা এতই সূক্ষ্ম যে এটা মাপার কথা কল্পনা করাও কঠিন ব্যাপার।’ ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁদের লাইগোর যন্ত্রে অ্যানটেনা এক সেকেন্ডের পাঁচ ভাগের এক ভাগ সময়ের জন্য একটা প্রোটনের এক হাজার ভাগের এক ভাগ পরিসরে নড়ে উঠেছিল। অধ্যাপক সেলিম ও তাঁর দলের সদস্যরা এবার কাজ করছেন এই শনাক্তকারক যন্ত্রের আরও উন্নতির জন্য।


সূত্র: প্রথমআলো

আপনার মন্তব্য

আলোচিত