সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ জুলাই, ২০১৬ ১৬:৪৬

মহাশ্বেতা দেবীর মহাপ্রয়াণ

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী মহাশ্বেতা দেবী মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায় কলকাতার একটি হাসপাতালে জীবনাবসান হলো তাঁর। ‘হাজার চুরাশির মা’ খ্যাত এই লেখকের মৃত্যুর সময়ে বয়স হয়েছিল ৯০।

মহাশ্বেতা দেবী ১৯২৬ সালে অবিভক্ত ভারতবর্ষের পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর লেখা অনেক উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণ, বাংলাবিভূষণ, র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার ইত্যাদি।

১৯৭৯ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। অরণ্যের অধিকার উপন্যাসের জন্য পুরস্কার পান তিনি।

পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণ, জ্ঞানপীঠ-সহ একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। বঙ্গবিভূষণ সম্মানেও সম্মানিত করা হয় তাঁকে।

গত ২২ মে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে মহাশ্বেতা দেবী ভর্তি হন দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে।

তখন চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, মহাশ্বেতা দেবীর রক্তে বিষক্রিয়া এবং মূত্রনালিতে সংক্রমণ হওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে তাঁর দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। ডায়ালাইসিসও করা যাচ্ছে না। তাঁর চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া হয়েছিল একটি চিকিৎসক দল।

সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ''এক মহান সাহিত্যিককে হারাল দেশ। বাংলা হারাল মা-কে। আমি আমার অভিভাবককে হারালাম। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।''

মহাশ্বেতা দেবির বাবা ছিলেন লেখক মনিশ ঘটক ও তাঁর চাচা উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটক।

তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে  অরণ্যের অধিকার,  হাজার চুরাশীর মা, হাজার চুরাশীর মা,অগ্নিগর্ভ, অগ্নিগর্ভ, রুদালী,  উনত্রিশ নম্বর ধারার আসামী, প্রস্থানপর্ব, ব্যাধখন্ড, ৬ই ডিসেম্বরের পর, নীলছবি (১৯৮৬, অধুনা, ঢাকা), গণেশ মহিমা ইত্যাদি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত