সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ নভেম্বর, ২০১৭ ০১:৫৮

৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি: সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রা আজ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদযাপনে আজ শনিবার দেশজুড়ে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত এই শোভাযাত্রাকালে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশজুড়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, আলোকচিত্র, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানমালারও আয়োজন করা হয়েছে।

১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে 'বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য' হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ২৫ নভেম্বর এই স্বীকৃতি উদযাপনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব সম্পর্কে দেশের জনগণ বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবহিত করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

এই স্বীকৃতি উদযাপনের আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদযাপন করা হয়। এ ছাড়া নাগরিক কমিটির ব্যানারে ১৮ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশ আয়োজিত হয়।

যেভাবে আনন্দ শোভাযাত্রা : আনন্দ শোভাযাত্রার কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে আজ দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি কলাবাগান-সায়েন্সল্যাব হয়ে শাহবাগ গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবে। পরে বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। স্বাগত বক্তব্যের পর ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে ভাষণটি বাজানো হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লেজার শোর মাধ্যমে শেষ হবে আনন্দ শোভাযাত্রার এই সমাবেশ।

ঢাকার বাইরে সব জেলা ও উপজেলায়ও একই ধরনের আনন্দ শোভাযাত্রা আয়োজিত হবে। সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে জেলা-উপজেলায় এই কর্মসূচি শুরু হবে। সব জায়গায় সুবিধাজনক সময় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম শুক্রবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি ও বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেছেন। সর্বস্তরের মানুষকে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সংগঠন সোহরাওয়ার্দীতে মিলিত হবেন। এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে ঢাকা শহরকে প্রাণচাঞ্চল্যমুখর করা হবে।

তিনি জানান, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শোভাযাত্রা সহকারে উপজেলা পর্যায়ে সবাই মিলিত হবেন। জেলা শহরে বিভিন্ন স্থান থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে এক জায়গায় মিলিত হয়ে অনুষ্ঠান হবে।

সরকারিভাবে কেন এই আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যখন ঘোষণা করা হয়েছিল, তখনও রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে। একইভাবে এটাও করা হচ্ছে। এটা জাতির জন্য বিশাল অর্জন। দলমত নির্বিশেষে সবার জন্যই এই অর্জন। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই।

শোভাযাত্রা ও সমাবেশ আয়োজনে জননিরাপত্তা বিভাগ সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করছি কোনো অসুবিধা হবে না।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এনএম জিয়াউল আলম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত