সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ মার্চ, ২০১৮ ২২:৪২

বিমান দুর্ঘটনা: শেষ আহত যাত্রী ঢাকায়

নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে সর্বশেষ কবির হোসেনকে ঢাকায় আনা হয়েছে।

সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান কবির। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের।

বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, কবির হোসেনের দুই পায়েই হাঁটুর নিচ থেকে অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে। ডান পায়ের অবস্থা বেশি শোচনীয়। তার পায়ে প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন হবে। কারণ পায়ের মাংস হাড় থেকে খুলে বেরিয়ে গেছে।

চিকিৎসকরা জানান, অর্থোপেডিকস সার্জন ও বার্ন ইউনিটের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ করে কবির হোসেনের পরবর্তী চিকিৎসা কি হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মৃত মোসলেম আলী মাতব্বরের ছেলে কবির হোসেন তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকার উত্তরখানের কুনিপাড়া এলাকায় নিজের বাড়িতে থাকেন।

প্রসাধনী সামগ্রীর আমদানিকারক কবির হোসেন ব্যবসার কাজে প্রতি মাসে একাধিকবার দেশের বাইরে যেতেন বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা। আর এজন্যই কবির ১২ মার্চ নেপালে যাচ্ছিলেন।

দুর্ঘটনার পরদিন তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বড় ছেলে আল-হেলাল নেপালে যান। সোমবার বাবার সাথে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি।

এছাড়াও এই বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফিরে আসা আহত বাংলাদেশী যাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭জনে। বাকি ৩ বাংলাদেশিদের মধ্যে রেজওয়ানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরে। এবং ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইয়াকুব আলী ও ইমরানা কবির হাসিকে।

অপরদিকে, এই দুর্ঘটনায় আহত মালদ্বীপের নাগরিক এক নারীও বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। তিনি বর্তমানে তার স্বামীর সঙ্গে আছেন। তার স্বামী বাংলাদেশে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেলে আনা হয়েছে শনাক্ত হওয়া ২৩ মরদেহ। ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় মরদেহগুলো।

উল্লেখ্য, আজ থেকে ৭দিন আগে ইউএস-বাংলার বিএস-২১১ ফ্লাইটে করেই নেপালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন ৪ ক্রুসহ ৭১ জন যাত্রী। এই যাত্রাই শেষ যাত্রা ছিল ৫১ জন যাত্রীর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত