সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ মার্চ, ২০১৮ ১৮:১০

বিমান দুর্ঘটনা: বেঁচে থাকা হলো না শাহীনের

নেপালে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহীন ব্যাপারী মারা গেছেন।

সোমবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দুপুরে বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার জানিয়েছিলেন, শাহীন ব্যাপারীর অবস্থার হঠাৎ করে অবনতি হয়েছে। তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।

সকাল থেকে অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল তাকে। বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হোসাইন ইমাম দুপুরে জানিয়েছিলেন, ‘ইনফেকশনের কারণে’ সকাল থেকে শাহীনের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে।

“তার প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই ধরনের বার্নে ইনফেকশন দ্রুত ছড়িয়ে সারা শরীরে চলে যায়। ফুসফুস, হার্ট সবখানে। তার কার্ডিয়াক সমস্যাও হয়েছে বলে ধারণা করছি।”

বুধবার (২১ মার্চ) শাহীন ব্যাপারীকে অস্ত্রোপচারের পর ইনফেকশন দেখা দেয়। তখন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছিলেন, শাহীন ব্যাপারীর আরও অস্ত্রোপচার করতে হবে।

শাহীন ঢাকার সদরঘাটের 'করিম এন্ড সন্স' নামে একটি কাপড়ের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। স্ত্রী রিমা ও আট বছরের মেয়ে সূচনাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদমজীর একটি বাসায় থাকতেন তিনি।

আহত অবস্থায় শাহীন ব্যাপারীকে গত ১৮ মার্চ দেশে ফিরিয়ে এনে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “ভাবি নাই বাঁচব”। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেলো না তাকে।

উল্লেখ্য, নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় পাইলট ও ক্রু সহ ৭১জন মধ্যে ৫১জন নিহত হয়। আজ শাহীন ব্যাপারীর মৃত্যুতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২জনে।
বিমানটিতে থাকা ৭১জন মধ্যে বাংলাদেশি ৩৬ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন।




আপনার মন্তব্য

আলোচিত