সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ এপ্রিল, ২০১৮ ১০:৫৪

ভবন ভাঙতে আরও এক বছর সময় পেল বিজিএমইএ

রাজধানীর হাতিরঝিলএ অবস্থিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙাসহ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আরও এক বছর সময় পেয়েছে সংগঠনটি। এক বছর সময় দেওয়া হলে ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না—বিজিএমইএর দেওয়া এমন অঙ্গীকার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (২ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

আদালতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।

এক বছরের সময়ের আবেদন গ্রহণ করা হলে ভবিষ্যতে বিজিএমইএ আর সময় চাইবে না বলে গত ২৮ মার্চ আপিল বিভাগে মুচলেকা দাখিল করে সংগঠনটি। তবে এই মুচলেকা অস্পষ্ট হওয়ায় বিজিএমইএর আইনজীবী আবেদনটি (মুচলেকা) সংশোধন করে দিতে আদালতের কাছে সময় চান। আদালত বিষয়টি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেন। এই সময়ের মধ্যে বিজিএমইএকে সংশোধিত মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়।

ভবন ভাঙতে ও কার্যালয় অন্যত্র সরাতে ভবিষ্যতে আর সময় চাইবে না—এমন মুচলেকা দিতে গত ২৭ মার্চ বিজিএমইএকে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে বলা হয়, এমন মুচলেকা পেলে এক বছর সময় চাওয়ার আবেদন আপিল বিভাগ বিবেচনা করবেন।

ভবন ভাঙতে ও কার্যালয় অন্যত্র সরাতে এক বছর সময় চেয়ে বিজিএমইএর আবেদনের ওপর শুনানি গত ২৫ মার্চ শেষ হয়।

গত বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দেন। তখন ভবন ভাঙতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৮ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে কর্তৃপক্ষকে সাত মাস সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

এরপরও বিজিএমইএ ফের আবেদন করায় পুনরায় ছয় মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের ওই সময় মঞ্জুরের পর এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে ১৬ তলার বিজিএমইএ ভবনকে ‘একটি ক্যানসার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এটি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত