সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১৩:৫৮

আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল

আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। ভয়াবহ দুর্যোগের দুঃসহ স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূলের মানুষ। এখনও অরক্ষিত উপকূল। ২৭ বছরেও নির্মিত হয়নি স্থায়ী বেড়িবাঁধ।

এ প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত এবং এক কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়।

২৯ এপ্রিলের মধ্যরাতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গিয়েছিল কক্সবাজারে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, উখিয়া-টেকনাফ উপকূলীয় এলাকা। এছাড়া লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালীসহ দেশের ১৩টি উপকূলীয় জেলার শত শত ইউনিয়ন। ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগের ঘূর্ণিঝড় এবং ২৫ থেকে ৩০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে দেশের উপকূলীয় এলাকা পরিণত হয়েছিল বিরানভূমিতে।

বাংলাদেশের অন্যতম সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের বন্দর নগরীর পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালীসহ উপকূলীয় এলাকার লোকজন এখনও রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে। ৯১ সালে এ ভয়াল রাতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এসব এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটলেও এখন পর্যন্ত সেখানে নির্মিত হয়নি স্থায়ী বেড়িবাঁধ।

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ জীবন যাপনের জন্য তৎকালীন জেলা প্রশাসক কক্সবাজারে বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় ঝাউ ও নারিকেল চারা রোপণ করেন। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর জেলায় ৪৫০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণের ফলে প্রায় ১৫টি সাইক্লোন শেল্টার সমুদ্রে তলিয়ে যায়। অর্ধশতাধিক সাইক্লোন শেল্টার বেদখল হয় এবং ২০টি নির্মাণ জনিত ত্রুটির ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এদিকে দিনটিকে স্মরণ করতে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবছর নানা কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। এবারও প্রতিবছরের মতো নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত