সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ মে, ২০১৮ ১৮:১৩

‘কোটা আন্দোলনকারীদের ডাটা সংরক্ষণ করা আছে’

ছবি: ফোকাস বাংলা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা যারা আছে, তাদের ছবি সংরক্ষণ করা আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে তিনি বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কেউ সরকারি চাকরি না পেয়ে যদি আবার জেলা কোটার জন্য কান্নাকাটি করে তখন আমার কিছু করার থাকবে না।

বুধবার (২ এপ্রিল) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান।

সাম্প্রতিক সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন এবং তিনি সেই প্রশ্নের জবাব দেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রছাত্রীরা কোটা চায় না বলেই সেটি বাতিল করে দিয়েছি। এখানে ক্ষোভের তো কোনো কারণ নেই। ছাত্রদের দাবি ছিল কোটা চায় না। তাই আমরা বাতিল করেছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কোটা থাকবে কি, থাকবে না তা ছাত্রদের বিষয় নয়। এটা সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের বিষয়। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে গেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করে তারা তো নামকাওয়াস্তে পড়ে। বলতে গেলে বিনা পয়সায় সবাই পড়ালেখা করছে। তারপরও যেহেতু এত দাবি করছে, তাই আমি দাবি মেনে নিয়েছি। এটা নিয়ে এত কথার কী আছে?

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের সময় তো আপনাদের কাউকে দেখিনি, ছাত্রদের থামাতে এগিয়ে যেতে। আন্দোলনে কারা জড়ো হচ্ছে কই সেই বিষয়ে তো কেউ কথা বলেননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হলেও ৭৫ পরবর্তী কতজন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরি পেয়েছে? তখন তো জিয়াউর রহমানের সরকারের ভয়ে কেউ মুক্তিযোদ্ধা কথাটি লিখত না। কারণ তখন তো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নয় স্বাধীনতাবিরোধীদের সরকার ক্ষমতায় ছিল।

সরকারি চাকরিতে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল সংসদে বক্তৃতাকালে কোটা বাতিলের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সেদিন সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ কয় দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস বন্ধ। পরীক্ষা বন্ধ হলো। রাস্তায় যানজট। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। মানুষ কষ্টে থাকবে কেন। কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নেই। আমি কেবিনেট সেক্রেটারিকে বলেই দিয়েছি, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিতে।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সফরে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসাও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত