সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ মে, ২০১৮ ১৯:০০

প্রবীণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে: মেনন

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা, গ্রুপ ইনস্যুরেন্স, প্রবীণ সাংবাদিক নিবাস তৈরি সহ বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে।

মঙ্গলবার (৮ মে) দুপুরে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) আয়োজনে প্রবীণ কল্যাণে কর্মরত তরুণদের সংগঠন প্রবীণবন্ধুর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পিআইবির পরিচালক মো. ইলিয়াস ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে গণমাধ্যমকর্মীদের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রবীণ বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ডা. মহসীন কবির লিমন।

আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আতিকুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা, হেল্প এইজ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাবেয়া সুলতানা লাইজু, বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. দলিলুর রহমান, সাংবাদিক সলিমুল্লাহ সেলিম ও জামাল উদ্দিন জামাল প্রমুখ।

রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের চিকিৎসা সুবিধা এবং পেনশন ব্যবস্থা চালু করার জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট উদ্যোগ নিতে পারে। তিনি আগামী বাজেটে প্রবীণদের ভাতা প্রদানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার কথা উল্লেখ করে বলেন, সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। তারা অন্যের কথা বলে কিন্তু নিজেদের অধিকারে কথা বলতে না পারায় শেষ জীবনে অনেক কষ্ট করে থাকেন। তাই সাংবাদিকদের জন্য সরকার কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন।

মূল প্রবন্ধে প্রবীণ বন্ধুর নির্বাহী পরিচালক ডা. মহসীন কবির লিমন প্রবীণ সাংবাদিকদের সামগ্রিক অবস্থা ও বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত শীর্ষক মূল প্রবন্ধে বলেন,  বেসরকারি বিভিন্ন তথ্যসূত্র অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ প্রবীণ বা সিনিয়র সিটিজেন রয়েছেন। দেশের প্রায় ১১ শতাংশ প্রবীণ গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যে ৮ শতাংশ প্রবীণই অস্বচ্ছলতা ও দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে মানবেতরভাবে জীবনযাপন করছেন।

মূল প্রবন্ধে ডা. লিমন জাতীয় বাজেটে প্রবীণ সাংবাদিকদের অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য প্রতিটি বিভাগে সরকার কর্তৃক ‘প্রবীণ সাংবাদিক নিবাস’ তৈরি, জাতীয় প্রেসক্লাব সহ সারাদেশের প্রেসক্লাবগুলো থেকে প্রবীণ সাংবাদিকদের আলাদা করে কার্ড প্রদান করা, যার মাধ্যমে প্রবীণ সাংবাদিকরা নানা সুযোগ সুবিধা যেমন-মাসিক হেলথ ক্যাম্প, প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য আলাদা বসার জায়গা, বিনোদন, প্রেসক্লাবগুলোতে স্বল্পমূল্যে খাবারের ব্যবস্থা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলেন।

অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার ৭২ লাখ ব্যক্তিকে ভাতা প্রদান করছে। কিন্তু প্রবীণ সাংবাদিকরা তা থেকে বঞ্চিত থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবীণদের জন্য ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে তাদের মনোবল অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগামীতে এই সংখ্যা আরো বাড়ানো হলে এদেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর আত্মনির্ভরশীল হওয়ার মনোবলকে আরো জোরদার করবে। তাদের  মর্যাদা অনেক বাড়বে।

অন্যান্য বক্তারা আগামী অর্থ বছরের বাজেটে প্রবীণদের জন্য আলাদা বিশেষ বরাদ্দ রাখার জন্য দাবি জানান। এছাড়া প্রবীণ বয়সে সাংবাদিকদের আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসারও আহবান জানান তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত