সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৪৫

মেলায় উস্কানিমূলক বই পেলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

অমর একুশে বইমেলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বা সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়াতে পারে এমন নিষিদ্ধ বই বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে সেই প্রকাশনার স্টল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমিতে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আমরা আগেই বলে দিয়েছি, মেলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে বা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কোনো বই প্রকাশ করা যাবে না। এরপরেও কোনো লেখক, ব্লগার ও প্রকাশকের এই ধরনের বই যদি স্টলে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমির টিম থাকবে যারা ব্যবস্থা নেবেন। আমরা কোনো সাম্প্রদায়িক বই মেলায় রাখতে দেবো না। গোয়েন্দারা তাদের নজরদারি সার্বক্ষণিক করবে, এরকম কোনো বই পেলে সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রকাশনার স্টল বন্ধ করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে কোনো লেখক প্রকাশক ও ব্লগার যদি তাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করে তাহলে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’

এ বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বইমেলায় আগত সবাইকেই নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রবেশ পথে আর্চওয়ে, ফুট পেট্রোলিং ব্যবস্থা, পোশাকধারী পুলিশের অবস্থান, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও আইএডি শাখার সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমীসহ দোয়েল চত্বর ও রাজু ভাস্কর্য এলাকা মনিটরিং করা হবে বলেও জানান তিনি।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বইমেলা উপলক্ষে কোনো ভাসমান দোকানপাট ও হকার থাকবে না। পুলিশ সার্বক্ষণিক তাদের মনিটরিং করবে। মেলায় আগত নারীদের যাতে কেউ উত্যক্ত করতে না পারে সেজন্য আলাদা টিম কাজ করবে। এরকম কাউকে পেলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হবে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের পুরো এলাকা দিনের আলোর মতো আলোকিত থাকবে। মেলায় আগত ছোট বাচ্চাদের মায়েদের জন্য ফিডিং কর্নার থাকবে। কেউ চাইলে লেকের পাড়ে গিয়ে সময় কাটাতে পারবেন।

বাংলামোটর-শাহবাগ-রাজু ভাস্কর্যের রাস্তায় মেট্রোরেলের কাজ চলছে তাই বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের মৎসভবন-দোয়েল চত্বর হয়ে প্রবেশ করার অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।

এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এবারের বইমেলায় জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। আমরা জঙ্গি নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দিয়েছি। এরপরেও দু’একজন জঙ্গি সদস্য বিচ্ছিন্নভাবে হামলা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির চেষ্টা তৈরি করতে পারে, তবে তার জন্য সোয়াত প্রস্তুত রয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটও কাজ করছে এ নিয়ে। আর গোয়েন্দারা তো সার্বক্ষণিক জঙ্গিদের বিষয়ে মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন। এর বাইরে পুলিশের একটি ইনভিজিবল একটি টিম বইমেলার আশেপাশে প্রস্তুত থাকবে। কোনো সমস্যা হওয়ার আগেই যাতে তারা অপারেশন করতে পারে। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে সবার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত