সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ এপ্রিল, ২০১৯ ১৩:২৭

খুলনায় শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ পুলিশ আহত

মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করায় শ্রমিকদের ধর্মঘট-অবরোধের তৃতীয় দিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি রাষ্ট্রয়াত্ত পাটকলের আন্দোলনকারীরা। এতে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার এ কর্মসূচির শেষ দিন এসব পাটকলে কর্মবিরতি চলছে।

আগের দুই দিনের মতই খুলনা-যশোর মহাসড়কের নতুন রাস্তা মোড়ের কবির বটতলা সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের অবরোধের কারণে বেলা ১২টা পর্যন্ত খুলনার পথে কোনো ট্রেনও চলাচল করতে পারেনি।  

দৌলতপুর থানার ওসি কাজী মোশতাক আহমেদ জানান, বিক্ষোভের মধ্যে নতুন রাস্তা মোড়ের পুলিশ বক্সে এক শ্রমিককে আটকে রাখার গুজব ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা সেখানে ঢিল ছোড়ে এবং ভাঙচুর চালায়।

এ সময় এক পরিদর্শকসহ চার কনস্টেবল আহত হলে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান ওসি।      

এ দিকে শ্রমিকদের বাধার মুখে সকাল থেকে কোনো ট্রেন খুলনা রেলস্টেশন না ছাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, বেনাপোলগামী কমিউটার, ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ও সৈয়দপুরগামী রূপসা এক্সপ্রেস সকাল থেকে ছেড়ে যেতে পারেনি।

মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ নয় দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিক লীগ সিবিএ ননসিবিএ পরিষদের ডাকে তিন দিনের এ কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিকরা।

সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ এর সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের প্রভিডেন্ড ফান্ড-গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বীমার বকেয়া প্রদান, বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাট কেনার বরাদ্দ বাড়ানো, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে ‘বিএমআরই’ করার দাবি রয়েছে এই নয় দফার মধ্যে।

বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক ও ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মুরাদ হোসেন জানান, বিজেএমসি চেয়ারম্যান ২৮ মার্চের মধ্যে মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে আমাদের আবারও আন্দোলনে নামতে হয়েছে।

খুলনার রাষ্ট্রয়াত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলিম, ইস্টার্ন জুট মিল এবং যশোরের কার্পেটিং ও জেজেআই জুট মিলে বর্তমানে ১৩ হাজার ২৭১ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত