সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০১

নড়াইল হাসপাতালের চার চিকিৎসক ওএসডি

নড়াইলের সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা আকস্মিক জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক না পাওয়ার পর ওই হাসপাতালের চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চার চিকিৎসককে বিনা অনুমতিতে হাসপাতালে অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর নোটিশের পাশাপাশি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

এই চিকিৎসকরা হলেন- নড়াইল সদর হাসপাতালের সার্জারির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আখতার হোসেন, কার্ডিওলজির জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. শওকত আলী ও ডা. মো. রবিউল আলম এবং মেডিকেল অফিসার ডা. এ এসএম সায়েম।

রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই চিকিৎসকদের ওএসডি করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

ওই চিকিৎসকদের প্রত্যেককে পৃথকভাবে পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি গত ২৪ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।

“আপনার উক্ত কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ মোতাবেক অসদাচরণের শামিল। আপনার এহেন আচরণের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা অত্র পত্র প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।”

বাংলাদেশ ওয়ান ডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নড়াইল-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার বেড়ে ওঠা ও বসবাস নড়াইল শহরে। ওই শহরেই জেলা সদর হাসপাতাল।

সম্প্রতি মাশরাফির ওই হাসপাতাল পরিদর্শনের একটি ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। বিকালে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের না পেয়ে তিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

ভিডিওতে মোবাইলে মাশরাফিকে বলতে শোনা যায়, “এসব কথা বললে তো হবে না। আপনি চার্জ দিয়ে চলে গেছেন এটা কেমন কথা? আরে বাবা আপনি তো আজকেই প্রথম তত্ত্বাবধায়ক হননি।

“আপনি কালকে এখানে যোগ দিছেন সেটা বিষয় না। কালকে যোগ দিছেন বলে আজকে রুগী মারা যাইতে না পারে এ রকম তো গ্যারান্টি নাই। আচ্ছা এখানে এখন একজন মানুষও নাই, কয়েকজন নার্স আছে। আপনার এখানে নার্সিং সুপারভাইজার যেটা থাকার কথা সেটাও অ্যাবসেন্ট।

“আপনি বাসায় গেছেন কেন স্যার, আপনি সেটা আমাকে বুঝাই বলেন। আপনার থাকার কথা নড়াইলে। আজকে যদি এই হসপিটালে কোনো একটা পেশেন্টের সার্জারি প্রয়োজন হয়, আপনি কি সুন্দর বলতেছেন রবিবারে আসেন, আমি রবিবারে সার্জারি করব! তা এই দুদিন আপনার জন্যে পেশেন্ট পড়ে থাকবে?

“এখন আপনি বলেন, আপনার কী করব, বলেন? বলেন আপনিই বলেন, আপনারে আমি কী করব বলেন? কী হল কথা বলেন না কেন?

“আপনি ফাইজলামি শুরু করছেন? আজকে যদি একটা পেশেন্টের প্রয়োজন হয় সার্জারি করার কাকে দিয়ে সার্জারি করাবে? আপনি কি এটা ভাবেননি একবারও?”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত