সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ আগস্ট, ২০১৯ ২১:৩০

বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রীদের মৃত্যুতে বাড়ছে ক্ষতিপূরণ

আকাশ পথে ভ্রমণের সময় বিমান দুর্ঘটনায় কোনো যাত্রী মারা গেলে বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্রথম ধাপেই এক লাখ এসডিআরের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল নির্ধারিত মান) সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। একইসাথে ক্ষতিপূরণ না দিলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনধিক ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

এসব বিধান রেখে আকাশপথে যাত্রী ও তার মালামালের সুরক্ষায় 'আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) আইন, ২০১৯' এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।

সোমবার (২৬  আগস্ট) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইনে যাত্রী ও কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে বিমান সংস্থাগুলোর দায়দায়িত্বকে আইনের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, মন্ট্রিল কনভেনশন হলো বিশেষত যাত্রীদের অধিকার সম্পর্কিত। বিমানে আরোহনকারী যাত্রীর মালামাল পরিবহন, মৃত্যুর কারণ ও যাত্রীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হলে এটা অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু আমাদের আইনে এটা এতদিন ছিল না। আইন না থাকায় আমরা সুবিধাটা নিতে পারিনি।

প্রস্তাবিত আইনে মন্ট্রিল কনভেনশনের বিধানগুলো ‘মোটামুটিভাবে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান শফিউল আলম।

তিনি বলেন, যদি কোনো সংস্থা এই ক্ষতিপূরণ না দেয়, তাহলে সেই সংস্থার মালিক, পরিচালকসহ ওই সংস্থাকে আইন-নির্ধারিত জেল ও জরিমানা ভোগ করতে হবে। মন্ট্রিল কনভেনশন প্রয়োগ না হওয়ায় নেপালে ইউএস বাংলার দুর্ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ কম পাওয়া যায়।

মন্ত্রীসভার বৈঠকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা-২০১৯-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী পরিবেশ বিষয়ক আইনকানুন ও বিধিবিধানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অর্থায়ন ও প্রণোদনার কথাও রয়েছে নীতিমালায়।

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন আইনের খসড়া এবং পেটেন্ট কো-অপারেশন থ্রিটিতে (পিসিটি) বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ও চেক রিপাবলিকের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য দ্বৈত করারোপন পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধসংক্রান্ত চুক্তির খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয় বৈঠকে।

বৈঠকে গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকের বাস্তবায়ন পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এই সময়ে সাতটি বৈঠকে ৭২টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৯টি (প্রায় ৮২ শতাংশ)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত