নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:০৪

বাংলাদেশের হাসিনাকে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল জাতিসংঘ সম্মাননা

বাংলাদেশের রোটারি ক্লাব অব ঢাকা ম্যাভেরিক্সের রোটারিয়ান হাসিনা রহমানকে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ‘পিপল অব একশন- কানেক্টরস বিয়ন্ড দ্য বর্ডার’ সম্মাননায় ভূষিত করেছে।

আগামী ৯ নভেম্বর নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট মার্ক ড্যানিয়েল ম্যালনি, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ও রোটারি ও যুব নেতৃবৃন্দ সহ অন্তত সাড়ে ৭শ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। রোটারি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী রোটারি কার্যক্রম চালানো ২০০ টি দেশ থেকে প্রাপ্ত মনোনয়ন থেকে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্টের গঠন করা একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি ৪ মাস ব্যাপী বাছাই প্রক্রিয়া শেষে এ বছরের সম্মাননার জন্য হাসিনা রহমান সহ ৬ জনের নাম ঘোষণা করে। সম্মাননা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- জার্মানির ড. বার্নড ফিশার (রোটারি ক্লাব অব বার্লিন, ডিসট্রিক্ট -১৯৪০), ব্রাজিলের ভ্যান্দেরলাই লিমা সান্ত্বনা (রোটারি ক্লাব অব বোয়া ভিস্তা কাকারি, ডিসট্রিক্ট ৪৭২০), ইন্দোনেশিয়ার এইস রবিন (রোটারি ক্লাব অব মাতারাম লম্বক, ডিসট্রিক্ট ৩৪২০), তুরস্ক বংশোদ্ভূত ইলগে কারানকাক স্প্লানি (রোটারি ক্লাব অব ক্যানারি রো, ডিসট্রিক্ট-৫২৩০) এবং লেবাননের লুসিয়েনে হ্যাওয়ার্থ (রোটারি পিস ফেলো এলুমনি, ডিসট্রিক্ট ৯৮০০)।

জাতিসংঘ সনদ প্রস্তাবনায় সাংগঠনিক ভাবে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখায় এই সংগঠন জাতিসংঘের অন্যতম সহযোগী সংগঠন হিসেবে শান্তির লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এবং প্রতিবছর নভেম্বরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই বন্ধনকে উদযাপন করা হয়। জাতিসংঘের ৭৫ বছর পূর্তিতে এই দুই সংগঠনের ঐতিহাসিক মেলবন্ধনকে উদযাপন করতে এ বছর ৯ নভেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ‘রোটারি-জাতিসংঘ দিবস’ পালন করা হবে।

হাসিনা রহমানকে সম্মাননা প্রদানের ঘোষণায় রোটারি ইন্টারন্যাশনাল উল্লেখ করেছে, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরে মাতৃকল্যাণ ও শিশু স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় হাসিনা রহমানকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।’ হাসিনা রহমান আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং রোটারি ক্লাব অব ঢাকা ম্যাভেরিক্সের সদস্য হিসেবে তার পেশাগত ও স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগের সম্মিলন ঘটিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ৮টি শিশু ও মাতৃকল্যাণ সেন্টার পরিচালনা করেছেন।

এই সেন্টারগুলোয় রোটারি সহ বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক সহায়তায় প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়। প্রায় ৯ হাজার পুষ্টিহীন শিশুকে বিশেষ সেবা প্রদানের মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা হয়। এছাড়াও হাসিনার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শিবিরে রোহিঙ্গা মাদেরকে অল্প জায়গায় শাকসবজি চাষের প্রশিক্ষণ ও কৃষি সাহায্য প্রদান করে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর পুষ্টিহীনতা রোধে সহজ সমাধান চালু করাকে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে উল্লেখ করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত