নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ মে, ২০২০ ১৬:১৮

মুনতাসীর মামুনকে নিয়ে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের চিকিৎসা এবং সামগ্রিকভাবে করোনা মহামারীর বিস্তার সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘৃণা-বিদ্বেষ ও গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

মঙ্গলবার (৫ মে) সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি ও ১৯৭১-এর গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত দুই দিন ধরে সুপরিকল্পিতভাবে যে ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর এই বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধে ধর্মের দোহাই দিয়ে যে ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে- এর ফলে তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের ভেতর অত্যন্ত বেদনা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ৭১-এর গণহত্যা এবং গণহত্যাকারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লিখেছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ’৭১-এর গণহত্যাকারী ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী জামায়াতে ইসলামির শীর্ষ নেতাদের চলমান বিচারে অন্যতম প্রধান সাক্ষী ছিলেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। যে কারণে জামায়াতে ইসলামি এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনসহ নির্মূল কমিটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বিষোদগার করে চলেছে। গত দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির এ হেন তৎপরতা আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের ‘আল্লাহর গজব’ বলছে এবং গতকাল রাতে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মৃত্যু সংবাদের গুজব ছড়িয়ে নারকীয় উল্লাস প্রকাশ করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় এই গণশত্রুরা করোনা ভাইরাসের চেয়ে সহস্রগুণ বেশি বিপদজনক উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সমগ্র বিশ্ববাসী দ্রুত মুক্তি লাভ করবে। কিন্তু ধর্মের নামে, জাতিসত্তার নামে যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ওজুহাতে ঘৃণা-বিদ্বেষ ও সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তার সুদূরপ্রসারী ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হলে এদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে সচেতন মানুষদের সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তার অসুস্থ মায়ের সেবা করতে গিয়ে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার ৮৬ বছর বয়স্ক মা জাহানারা খান সুস্থ হয়ে ওঠেছেন যার বয়স ৮৬ বছর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এখন অক্সিজেন ছাড়া শ্বাস গ্রহণ করতে পারছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত