সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৫:১৮

‘রোহিঙ্গা গণহত্যায় অং সান সুচির ভূমিকা নোবেলকে কলঙ্কিত করেছে’

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যা বন্ধে জাতিসংঘ, ওআইসি সহ বিশ্বের সকল মানবতাবাদী রাষ্ট্রের শক্তিশালী ভূমিকা পালন করা উচিত। তাদের মনে রাখা উচিত রহিঙ্গাদের গণহত্যার কারণে মানবতা আজ পদদলিত-লাঞ্চিত। মায়ানমারে রহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে গণহত্যার বিষয়ে অং সান সুচির নিরবতা নোবেল শান্তি পদককে কলঙ্কিত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে 'মায়ানমারে মুসলিম গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবীতে' বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটি আয়োজিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

সোসাইটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল। গণ সংস্কৃতি দলের সভাপতি এস. আল মামুনের সঞ্চালনায় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, মানবাধিকার ফেডারেশনের আহবায়ক এডভোকেট ড. মো: শাহজাহান, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম.এ.আজিজ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রধান, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক আবদুল আউয়াল ঠাকুর, কল্যাণ পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, ইডাপ চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম, মানবাধিকার নেত্রী জোসনা আক্তার বেবী, ন্যাপ নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, সংগঠনের সদস্য মীর হোসেন মীরন, মীজান মাসুম, বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।

মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল বলেছেন, মিয়ানমারে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে হত্যা, নির্যাতন চালানো হচ্ছে সেভাবে জাতিসংঘ ও ওআইসি কোনো প্রতিবাদ করছে না। ওআইসিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও জাতিসংঘে প্রস্তাব আনতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মায়ানমারের মুসলমানদের ওপর ইতিহাসের জগণ্যতম গণহত্যা চালাচ্ছে সে দেশের সেনাবাহিনী।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করুন এবং মানবতার সেবা হিসেবে সীমান্তে নজরদারী শিথিল করে তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় প্রদান করুন।

এডভোকেট ড. মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, মিয়ানমার সরকার মানবতা বিরোধী সরকার। এই সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শুধুমাত্র গতানুগতিক বিবৃতি দিয়ে দায়মুক্তি হবে না। ধিক্কার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ কোথায় বিশ্ব বিবেক? কোথায় মানবাধিকার?

এম.এ. আজিজ বলেছেন, ইতিমধ্যেই মায়ানমারে মুসলিম গণহত্যার যে চিত্র ফটে উঠেছে তাতে সমগ্র বিশ্ববাসী লজ্জিত। মানবতা আর মানবাধিকার পদদলিত।

জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বলেছেন, সারা বিশ্ব থেকে মায়ানমারের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ এই গণহত্যা বন্ধ ও তাদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর কোন ভূমিকা রাখেনি।

শহিদুল ইসলাম বলেছেন, মায়ানমারে রহিঙ্গার গণহত্যার বন্ধে জাতিসংঘ ও ওআইসি’ও এগিয়ে আসেনি। যা গণহত্যাকে নিরব সমর্থনের শামিল।

আবদুল আউয়াল ঠাকুর মায়ানমারে রহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্ববাসীকে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও একসময়ের স্বাধীন রাষ্ট্র আরাকানের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেছেন, মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার বিষয়ে অং সং সুচীর নেতৃত্বাধীন সরকার এবং বিশ্ব মোড়লরাও রহস্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। মায়ানমারের মুসলিম নিষ্ঠুরতম পরিস্থিতির শিকার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত