সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ মার্চ, ২০১৭ ১৬:২০

নেতাদের জামিন না দেয়ায় টিলাগড়ে ছাত্রলীগের সড়ক অবরোধ

এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আলতাফুর রহমান মুরাদ, তারেক আহমেদ, শামসুল ইসলাম অপু, রবিউল হাসান ও সৌরভ আচার্যের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মার্চ) টিলাগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে এমসি কলেজ ছাত্রলীগ ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

মিছিল ও অবরোধে নেতৃবৃন্দ বলেন, যদি এমসি কলেজ ছাত্রলীগের আটককৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দেয়া না হয় তাহলে সমগ্র সিলেটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলা হবে।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এম সি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হুসেনের সভাপতিত্বে ও টিটু চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম কামরুল ইসলাম সাবেক স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ,সাবেক সদস্য নাজমুল ইসলাম, গন-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কনক পাল অরুপ, এম সি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাসেল আহমেদ, শামীম আলী।

উপস্থিত ছিলেন এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সায়েল আহমেদ, বাপ্পী সরকার, মাসুম আহমেদ মাহী, পাবেল হাসান, কানন, সিরাজুল, রতন, নাজাত, রুপক, আক্তার, সূর্য, ইমরান, সাইফ, কাওসার, শাহান, সুরঞ্জিত, রাহী, রাহাত, জাকা, সুহেল, জমির, জন, শাহ রনি, টিপু, সিহাব, মাহফুজ, সজিব, তাপস, সুহাগ, কাওসার, তোফায়েল, আহমেদ শাওন, সম্রাট শাওন, হাবিব, মোমেন, জুনেদ।

সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ফাইয়াদ আহমদ জামিল, রুহেল আহমেদ, তানিম খান, রুমেল আহমেদ, কাউসার উদ্দিন আহমেদ, নাইম আহমেদ, এস এ এমরাজ, আনাস আহমেদ, হিফজুর রহমান, সারুয়ার, কুরেশ, আলামিন, জুয়েল, নাসির, ওয়াহিদ, সাজন, শাহিন, শাহান, রাহি, মাহদি, সাব্বির প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য, প্রায় এক যুগ পর জানুয়ারিতে এমসি কলেজ ছাত্রদল শাখার আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠিত হওয়ায় ৩০ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে ছাত্রদল। ওই মিছিলে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী প্রকাশ্যে দা, রড ও অস্ত্র উঁচিয়ে ধাওয়া করেন বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসায় সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরু ফৌজধারী কার্যবিধির (কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর) ১৮৯৮ এর ২৫ ধারা অনুসারে ওই ধাওয়াকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। এছাড়া সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেন তিনি।

সূত্র জানায়, সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া কথা থাকলেও পুলিশ সময় বর্ধিত করে। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) শাহরিয়ার আল মামুন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও ছয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সাথে দ্রুতবিচার আইনে মামলা রেকর্ডভুক্ত করার আদেশও দেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে দ্রুতবিচার আইনে মামলা (নং-৭৮/২০১৭ সিআর) রেকর্ড করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত